
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্রের পর নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ তাহের। এ সময় জামায়াত নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা ডা. মোহাম্মদ তাহের জানান, আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হোক। কারণ, মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে এতদিন অপেক্ষা করছিল, তা জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে পূরণ হয়নি। এতে করে দেশের জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যেও নতুন করে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তাই ঐক্যমত্য কমিশনের মাধ্যমে আগামীর জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কেমন হবে, তা এখনও অস্পষ্ট।
এর আগে এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা এই ঘোষণাপত্রে হতাশ, এই জাতি হতাশ। কারণ ঘোষণাপত্র সংবিধানে স্থান দেয়া দরকার ছিল। ৫ আগস্ট থেকে এই ঘোষণাপত্র বাস্তাবায়ন করবে বলে আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু এটা কখন থেকে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো নির্দেশিকা নেই। ডা. তাহের বলেন, আন্দোলনে শহিদ পরিবার কিংবা পঙ্গু যারা আছে তাদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই ঘোষণাপত্রে। যারা শহিদ হয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা ছিল, তাদের ভাতা দেয়ার কথা ছিল। এসব কোনো বিষয়েই ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। এসব কারণে আমরা হতাশ।
এর আগে ৫ আগস্ট ঘোষণাপত্রে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো বলে জানান তিনি।