কৃষকের গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের আপ্যায়ন করার অভিযোগ উঠেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৬নং আদারিভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদিকা লায়লা খাতুন ইতির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া (৪০) ও কসাই বজলুর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, গরু চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ড. ইউনূসকে হুঁশিয়ারি নয়, শেখ হাসিনার ভিডিওটি নিয়ে যা জানা গেল
জানা যায়, শনিবার সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার জুনাইল রাইসিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা মাঠে উপজেলা ও পৌর মহিলা দল নারী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্য উপজেলার দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামে ভূরিভোজের আয়োজন করেন আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদিক লায়লা খাতুন ইতি।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী ইউনিয়নের খামার মাগুরা গ্রামের কৃষক এফাজ উদ্দিনের গোয়াল ঘর থেকে একটি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এফাজ উদ্দিনসহ তার প্রতিবেশীরা গরু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে আজ ভোরে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামের বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তার বাড়িতে লোকজনের সমাগম দেখতে পান।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সুমন মিয়া নামে একজন ও কসাই বজলুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী ও তার স্ত্রী লায়লা খাতুন ইতি কৌশলে পালিয়ে যান।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান সাংবাদিকদের জানান, মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিষয়টি আমরা শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, গরুটির মালিক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।