
দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম এবং মোবাইল ফোনের জায়গায় সংশোধনী এনে শাপলা, সাদা শাপলা এবং লাল শাপলা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত ৩ আগস্ট দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ইসি সচিব বরাবর এ আবেদন করেন।
এনসিপির আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিগত ১২ জুন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আইনানুগ সকল শর্ত পূরণ পূর্বক আবেদন করেছি। উক্ত আবেদনে আমরা যেই প্রতীক দলের অনুকূলে সংরক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলাম তার ক্রম ছিল শাপলা, কলম এবং মোবাইল। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির তরফ থেকে অত্র পত্রের মাধ্যমে উক্ত ফিল্ড ৬-এ নিম্নরূপ সংশোধনী আনছি।’
তিনটি প্রতীকের কথা উল্লেখ করে আবেদনে শাপলা, সাদা শাপলা ও লাল শাপলা দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের দাখিলকৃত বিগত ২২ জুনের আবেদনে আমাদের পার্টির জন্য প্রতীক সংরক্ষণের বর্তমান ক্রম ১. শাপলা ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা। উল্লেখ্য, শাপলা প্রতীক হিসেবে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন বা আংশিক বিকৃত ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টি সবসময় আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আবেদনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, জাতীয় নাগরিক পার্টিকে আইনানুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদানের প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে এবং নিবন্ধন প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে এনসিপি'র অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা, এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।’
এর আগে গত ২২ জুন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল এনসিপি দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম ও মোবাইল চেয়ে আবেদন করে।
অবশ্য এর আগে একই প্রতীক চেয়েছিল মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় নাগরিক ঐক্য। সে সময় দলটির পক্ষ থেকে প্রতীক হিসেবে শাপলা চাওয়া হয়। তবে জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় দলটিকে শাপলা প্রতীক দেয়নি নির্বাচন কমিশন। পরে তাদের জন্য কেটলি প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
গত ১৩ জুলাই বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে কাউকেই শাপলা দেওয়া হবে না।
সিইসি বলেন, ‘শাপলা দলের প্রতীক হিসেবে দিলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে। তবে কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখব না। কেউ শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত তাই-ই।’
একই দিন নির্বাচন কমিশনে এসে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী দাবি করেন, শাপলা প্রতীক পেতে আইনি কোনো বাধা নেই এনসিপির। যদি বাধা আসে তাহলে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করা হবে।