Image description
 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার সময় পুলিশ তা বসে বসে দেখেছে বলে দাবি করলেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। আজ বুধবার নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ লেখেন, ‘সারজিস, নাসিরের সাথে কথা হয়েছে। নাহিদ, হাসনাত ও আখতারকে ম্যাসেজ করেছি। হামলা চলছে। পরিস্থিতি খারাপ শুনলাম। এখনো সবাই নিরাপদ, কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এই হামলার বিহিত করতে হবে।’

তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলছি, রাষ্ট্রে বিপ্লবী সংস্কার ছাড়া সামনে এগোনোর কোনো পথ নেই। এই হামলা চারটি বাস্তব সংকেত দিচ্ছে- ১. পুলিশ সংস্কার হয়নি, তাই পুলিশ বসে থেকে হামলা দেখছে।২. লীগের বিচার শুরু হয়নি, তাই গোপালগঞ্জ এখনো ফ্যাসিবাদের ঘাঁটি। ৩. ইন্টেরিম সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। ৪. সংস্কার বাদ দিয়ে রাজনীতি করার প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকায় ৫ আগস্টের আগের পরিস্থিতিই বহাল আছে।’

জুনায়েদ লেখেন, ‘গণঅভ্যুত্থানকে রূপ দিতে হবে পূর্ণ বিপ্লবে। নতুন বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে আপামর ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিপ্লবী রঙে। আমরা থামছি না ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপিরি সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা হঠাৎ করেই মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশস্থলে চড়াও হয়। তখনো পর্যন্ত এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা শহরে উপস্থিত থাকলেও মূল মঞ্চে পৌঁছাননি।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনা স্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনী।