Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত সমন্বয় কমিটিতে আওয়ামী লীগের একজন নেতা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমিনুল ইসলামকে প্রধান সমন্বয়কারী এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে জয়ন্তী বিশ্বাস, আনিসুল ইসলাম, সুমন মৃধা, মোস্তফা হাবিব ও সুফিয়ান আজাদকে রাখা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন, সাইফুল ইসলাম, আনিসুল হক, রমজান মিয়া, এরফান সিদ্দিকী, নবি হোসেন, আবুল কালাম, মো. রায়হান মিয়া, মো. জিলানীসহ আরও অনেকে। এ কমিটি তিন মাসের জন্য অথবা পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

তবে সবচেয়ে আলোচিত নাম নবি হোসেন। যিনি আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। এনসিপির কমিটিতে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন একটি দলের সক্রিয় নেতাকে ভিন্ন দলের কমিটিতে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো?

এ নিয়ে জানতে চাইলে নবি হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের ওই কমিটি গ্রহণ করিনি। নির্বাচনের সময় এক আত্মীয় আমার নাম কমিটিতে দিয়েছেন। এটি অনুমোদিত হয়েছিল কি না, তা আমি জানি না। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় তার অংশগ্রহণের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ব্যবসা করি, এলাকায় থাকলে না গিয়ে পারা যায় না। কেউ বললে বা ডাক দিলে উপেক্ষা করাও কঠিন।

এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁকে ডেকেছেন সত্য, তবে জুলাই আন্দোলনে নবি হোসেন আমাদের পক্ষেই ছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং সক্রিয় থেকেছেন। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাঁর দাবি, যে আওয়ামী লীগ কমিটিতে নবি হোসেন সাধারণ সম্পাদক, সেটি ভুয়া।