Image description

সিলেটের মুসল্লিদের ‘ইজাজত’ নিয়ে ভোটের মাঠে নামলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি সিলেটের সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। ঘোষণা দিয়েছেন; সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। আর দলের কাছে এ আসন থেকেই মনোনয়ন চাইবেন। মর্যাদাপূর্ণ আসন সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন ও সদর)। কথিত আছে; এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করেন সেই দল সরকার গঠন করে। এখন পর্যন্ত এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি। এ আসনে ২০১৮ সালে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সিলেটের ভোটের মাঠে রয়েছেন। ২৪’র নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। পাশাপাশি সিলেট বিএনপি’র অভিভাবক হিসেবেও কাজ করছেন।

সিলেটের মুসল্লিদের ‘ইজাজত’ নিয়ে ভোটের মাঠে নামলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি সিলেটের সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। ঘোষণা দিয়েছেন; সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। আর দলের কাছে এ আসন থেকেই মনোনয়ন চাইবেন। মর্যাদাপূর্ণ আসন সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন ও সদর)। কথিত আছে; এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করেন সেই দল সরকার গঠন করে। এখন পর্যন্ত এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি। এ আসনে ২০১৮ সালে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সিলেটের ভোটের মাঠে রয়েছেন। ২৪’র নির্বাচনে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। পাশাপাশি সিলেট বিএনপি’র অভিভাবক হিসেবেও কাজ করছেন।

তিনি জাতীয় নির্বাচনে যখন অংশ নেন তখন মেয়র ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০২৩ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিটি নির্বাচনে অংশ নেননি আরিফ। মেয়রের চেয়ার ছেড়ে দলের নেতা হিসেবে কাজ করছিলেন। প্রায় তিন মাস আগে লন্ডন সফর করে এসেছেন তিনি। লন্ডনে তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর লন্ডনেই ঘোষণা দিয়েছিলেন; সিলেট-১ আসনে জিয়া পরিবারের কেউ প্রার্থী না হলে তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। এর আগে সিলেট-৪ আসনে তিনি প্রার্থী হবেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে; ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার গুজব উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে সিলেট বিএনপি’র রাজনীতিতে নানা মেরূকরণ চলছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে জল্পনাও। প্রশ্ন উঠেছে; মুক্তাদির ও আরিফের সম্পর্ক নিয়েও। তবে দলের নেতারা এটিকে পজিটিভ ভাবেই দেখছেন। তাদের মতে; নেতা হিসেবে দলের কাছে মনোনয়ন চাওয়া সবার অধিকার রয়েছে। কিন্তু দিন শেষে নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। আপাতত সবাই ধানের শীষের পক্ষে মাঠে সক্রিয়। নানা কারণে সিলেট-১ আসন মর্যাদাপূর্ণ। এ আসনে রয়েছে উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক ও ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) সহ ৩৬০ আউলিয়ার সমাধি। 

১৯৯৬ সাল থেকে এ আসনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা সবাই ছিলেন ভিভিআইপি ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ। দুনিয়া জুড়ে তাদের খ্যাতি ছিল। ১৯৯৬ সালে এ আসনের এমপি হন খ্যাতিমান কূটনীতিক ও সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। পরে ২০০১ সালে এমপি হন বিশ্বব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। ২০০৮ সালে এমপি হন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০২৪ সালে এমপি হয়েছিলেন জাতিসংঘ মিশনে সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন।  খ্যাতিমানদের আসন হওয়ায় এ আসনটি বরাবরই মর্যাদার। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে এবার সকলের ‘ইজাজত’ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই মেয়াদের সফল মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। শুক্রবার সিলেট বন্দরবাজারস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে মসজিদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। 

এ সময় বলেন- ‘এ বিভাগের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে আমরা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে সিলেট-১ আসনে চাই। তিনি যদি এ আসন থেকে নির্বাচন করেন তবে সিলেটবাসী অত্যন্ত আনন্দিত হবেন এবং সিলেটের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। আর যদি কোনো কারণে তিনি এখানে না আসতে চান তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং সিলেটের মুরুব্বিয়ানসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে সবার ‘ইজাজত’ নিয়ে জুমার নামাজ পড়ে এখান থেকে আমি আমার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলাম।’ আরিফ বলেন- ‘এই মসজিদে (বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ) আসার ও নামাজ পড়ার কারণ হচ্ছে, সিলেটের বেশির ভাগ মুরুব্বি এখানে এসে নামাজ আদায় করেন। এ ছাড়া আমাদের মহান নেতা মরহুম এম সাইফুর রহমান মৃত্যুর আগের দিনও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন। সবমিলিয়ে আমি আজ এখান থেকেই আমার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছি।’ এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও সিলেট জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।