Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, তারা ৫ আগস্ট এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখনও পূরণ হয়নি। আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।

রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে এনসিপির জুলাই পথযাত্রা শেষে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে পার্টির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, ২০২৪ এর জুলাইয়ের পর নতুন জুলাই এসেছে। কিন্তু আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। মনের ভেতরে এখনও আফসোস কাজ করে। ৫ আগস্টে এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, সেগুলো এখনও পূরণ হয়নি। তাই যতদিন না আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলবে। এই উদ্দেশ্যে ৬৪টি জেলায় আমরা যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় আমরা দেখেছি। আপনি সবাইকে নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেস্তাদেরও ওপরে। ঠিক এই কারণে ফেরেস্তা থেকে ফেরাউন, ফেরাউন থেকে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে। আগামীর বাংলাদেশে যত বড়ই দল হোক, যত বড় নেতা কিংবা নেত্রী হোক, কাউকেই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখা হবে না।

পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে পুলিশ, ডিসি থেকে এসপি, ওসি থেকে ইউএনও সবাইকে একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখি- যদি আপনি জেলা-উপজেলার ডিসি, এসপি, ওসি-ইউএনও হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে ভালো। আর যদি আপনি কোনো দলের হয়ে ওঠেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কথা স্মরণ করুন। আপনার অবস্থাও ওই একই রকম হবে। কোন চাটুকারের আর জায়গা হবে না এই বাংলাদেশে।

সারজিস বলেন, এই উত্তরাঞ্চলে আমরা এতদিন যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যদি সেটা এনসিপিও হয়, আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না। চাঁদাবাজ, দখলবাজের বড় পরিচয় সে চাঁদাবাজ, দখলবাজ। যে সিন্ডিকেট চালায়, তার সবচেয়ে বড় পরিচয় সে রক্তচোষা। এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। এদের ছেড়ে দিলে হাসিনার মতো আরও স্বৈরাচার এই দেশে তৈরি হবে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি হতে দেব না।

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মুখ্য, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।