
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দুই দিন আগেই আত্মীয়স্বজনদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বলেছিলেন তিনি।
রোববার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আত্মীয়স্বজন কেন গ্রেপ্তার হয়নি, তা জানিয়ে আলাল বলেন, শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোনো আত্মীয়স্বজন গ্রেপ্তার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে, তাদের সংশোধন হওয়ার জন্য বলি, এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রীরা ও তাদের মায়েরাও জড়িত ছিলেন। এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না। এর পেছনে বিএনপির নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপির, এমন দাবি করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা ও আহতের সংখ্যা বিএনপির। সবচেয়ে বেশি গুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে। এই রঙিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে, সেসব দেশের একটিতেও স্থিতিশীল সরকার নেই। স্বাভাবিক গতির সরকার নেই।