Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যারা সংখ্যানুপাতিক ভোট (পিআর) ব্যবস্থা চাচ্ছে আপনারা কি তাদের কাছে শুনেছেন তারা কেমন পিআর পদ্ধতি চায়?

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র বিভিন্নভাবে অনুশীলন হয়। আমেরিকায় যেভাবে হয় ইংল্যান্ডে সেভাবে হয় না, ফ্রান্সে যেভাবে হয়, ভারতে তো সেভাবে হয় না, শ্রীলংকায় যেভাবে হয় বাংলাদেশে তো সেভাবে হয় না। একেক দেশে একেক রকম পদ্ধতি আছে গণতন্ত্র কার্যকর করার।

রোববার (৬ জুলাই) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, পিআর হলো একটা কনসেপ্ট… এটা বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে কার্যকর হয়। এখন যারা পিআরের কথা বলছেন তারা কীভাবে পিআর বাস্তবায়ন হবে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলছেন না। তাহলে এই সম্পর্কে একটা অসস্পষ্ট ধারণা থেকেই যাচ্ছে। এটা আলোচনার জন্য আলোচনা হচ্ছে। আমরা মনে করি যে, এই রাষ্ট্র জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিকও জনগণ।

ইভিএম পদ্ধতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু কীভাবে ভোটটা দেব এজন্য একটা ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। কত বছর হলো? এই ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য অনেক প্রচার-প্রচারণা হয়েছে। যারা এই পদ্ধতি কার্যকর করবে তাদের প্রশিক্ষণ হয়েছে, সেই প্রশিক্ষণে যারা গেছেন তারা যে ভাতা নিয়েছে, আপনারা দেখেছেন এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও হয়েছে। আবার তাদের মাধ্যমে সারা দেশে জনগণকেও প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা হয়েছে। তারপরও আজ পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতি কার্যকর হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি হলো গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়া। এ নিয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে আপনাদের কারও? এই সম্পর্কে জনগণকে কেউ অবহিত করেছে এবং এ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কিংবা সুশীল সমাজ বলেন কিংবা প্রতিনিধিনিত্বশীল যেসব প্রতিষ্ঠান বলেন এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের যেসব সংগঠন আছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। ফরমালি এ নিয়ে আলোচনা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে শুরুই হয়নি। অথচ এ নিয়ে আমাদের কিছু কিছু সহকর্মী বলছেন- এটা হতেই হবে, না করলে ইলেকশনই করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মানেটা কী?

নজরুল বলেন, আমাদের মহাসচিব বলেছেন, আমরাই সংস্কার বেশি চাই। আমরাই বেশি সংস্কার করেছি। যুগান্তকারী যেসব সংস্কার বাংলাদেশে এটা আমরা করেছি। উনারা কেউ যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনি তখন আমরা পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। সেই বিএনপিকে অভিযুক্ত করা খুবই অন্যায়।

তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যটা ভালো না। আমরা রাজনীতি করি, সমালোচনার মুখোমুখি হতে রাজি আছি। কিন্ত ‍রাষ্ট্র এবং এই যে লাখো শহীদ মুক্তিযুদ্ধে এবং হাজারো শহীদ বিভিন্ন আন্দোলনে বিশেষ করে ২৪-এর অভ্যুত্থানে তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংহতিপূর্ণ হতে হবে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম। যে কোনো একটা সিষ্টেম চালু করতে হলে জনগণের সম্মতি নিতে হবে।