
প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ ভোলা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। আবার নদী ও সাগরবেষ্টিত হওয়ায় সেখানে বেশ আনাগোনা থাকে পর্যটকের। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এবার এ জেলায়ও বইছে ভোটের হাওয়া। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে। উৎসবের আমেজ ফিরেছে পাড়া-মহল্লায়। দীর্ঘ দেড় দশক পর পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারার স্বপ্নে বিভোর ভোটাররা।
ভোলার সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত চারটি সংসদীয় আসন। ১৯৮৪ সালে জেলা ভাগ হওয়ার পর থেকে এখানে আধিপত্য ছিল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা)। এরপর ধীরে ধীরে সেখানে ঘাঁটি গাড়ে বিএনপি। মাঝে সাড়ে ১৫ বছর রাজত্ব করেছে আওয়ামী লীগ। এবার নিজেদের হারানো কেল্লা পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। অন্যদিকে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় নেতারা তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে, চালাচ্ছেন নানাভাবে লবিং-তদবির আর একক প্রার্থী বেশ আগে ঘোষণা করায় প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন জামায়াত নেতারা।
ভোলা-১ (সদর)
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে দীর্ঘদিন দলটির নেতারা নির্বাচনে ছিলেন না। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও জোটগত কারণে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। এবার ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মরিয়া বিএনপি নেতারা। মাঠ দখলের জন্য প্রার্থী হতে চান জেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক পৌর মেয়র, গোলাম নবী আলমগীর। এখন পর্যন্ত তিনিই দলটির একক মনোনয়নপ্রত্যাশী।
গোলাম নবী বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। জনগণের জন্য কাজ করি। ভোটের মাধ্যমে মানুষ আমাকে পুরস্কৃত করবেÑএটাই আমার প্রত্যাশা।’
এদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী হওয়ায় অনেক আগ থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলের জেলা শাখার নায়েবে আমির ও মৌলভীরহাট সিনিয়র ফাজিল মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। জুলাই বিপ্লবে ভোলার শহীদ ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের নিয়ে বিশাল গণজমায়েতের মাধ্যমে অনুদান প্রদান, তাদের খোঁজখবর নেওয়া, দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচারণার মাধ্যমে শক্ত অবস্থান তৈরি করছেন তিনি। অন্যদিকে ১৮ বছর পর দলের সেক্রেটারি জেনারেলের উপস্থিতিতে বিশাল কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করেছেন নেতাকর্মীদের। সবাই মিলে তার নির্বাচনি প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
অধ্যক্ষ নজরুল বলেন, ‘সব জুলুম-অত্যাচারের মধ্যেও আমরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছু হটিনি। সুতরাং আমাদের এসব সফল কর্মকাণ্ডের জবাব জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেবে বলে আশা করছি।’
অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে সম্ভাব্য জোটের হয়ে নির্বাচন করবেন বিজেপি চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। জোট না হলেও তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে এখানে নির্বাচন করবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, ‘আমি এই আসন থেকেই নির্বাচন করব। তবে কোন সমীকরণে নির্বাচন হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
তবে বসে নেই ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুর রহমান। প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ভোলার উন্নয়নে কাজ করার জন্যই আমি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছি।’
ভোলা-২ (বোরহান উদ্দিন ও দৌলতখান)
মেঘনা-তেঁতুলিয়াবেষ্টিত এ আসনে বিএনপির প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভাই, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম। অবশ্য তিনি কোনো কারণে নির্বাচন না করলে বিএনপি থেকে লড়তে চান তার ছেলে দৈনিক খবরপত্রের সম্পাদক ব্যারিস্টার মারুফ ইব্রাহিম আকাশ এবং হাফিজের স্ত্রী ও বোরহান উদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানা। এ পরিবারের তিনজনই প্রচার চালাচ্ছেন।
হাফিজ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমি এই আসনকে বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত করেছি। তাই এখানে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তবে আমি কোনো নির্বাচন না করলে আমার ছেলে ব্যারিস্টার মারুফ প্রস্তুত আছে।’
এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির সদস্য এবিএম ইব্রাহিম খলিল।
এ আসনে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারে শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। দলের সাবেক জেলা আমির, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার সাবেক সহকারী অধ্যাপক ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় গবেষণা ইউনিটের সদস্য মুফতি মাওলানা ফজলুল করিমের নাম আগেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করায় এগিয়ে রয়েছেন প্রচারে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের আস্থা জন্মাচ্ছেন, বাড়াচ্ছেন ভোট ব্যাংক।
বিজ্ঞ আলেম হিসেবে তার বেশ খ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নানা আয়োজনে সরব উপস্থিতির মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে তিনি সবার মধ্যে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এই পরিচিতি।
মাওলানা ফজলুল বলেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত, সাম্য ও আইনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, এ আসনের মানুষ আমাকে চিনতে ভুল করবেন না, তাদের সমর্থনের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করে বাসযোগ্য ভোলা গঠনে সহায়তা করবেন।’
অন্যদিক সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ খোকন এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চান। তবে তৎপরতা নেই ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি ও এবি পার্টির।
ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন)
লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মাটি মেজর হাফিজের ঘাঁটিÑএলাকায় এমন কথা প্রচলিত আছে। ১৯৮৬-২০০১ সাল পর্যন্ত জাপা, স্বতন্ত্র ও বিএনপি থেকে বারবার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। ২০০৮ সালে আসনটি নিয়ন্ত্রণে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ।
আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে এলাকায় তেমন পদচারণা ছিল না মেজর হাফিজের। গত ৫ আগস্টের পর নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রচারে সরব আছেন তিনি। দলের হেভিওয়েট নেতা হওয়ায় তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস নেতাকর্মীদের।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘আমি বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। যে এলাকার মানুষ ছয়বার আমাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে, সে এলাকার মানুষ এবারও আমার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করবে।’
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন দলটির সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান টিটব। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।
বিএনপির এই হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশীর প্রতিন্দ্বন্দ্বী হিসেবে দলীয় প্রার্থী দেয়নি জামায়াত। তবে সদ্য নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) মহাসচিব নিজামুল হক নাঈমকে বন্ধুপ্রতিম দলের নেতা হিসেবে সমর্থন দিয়েছে জামায়াত। ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই কেন্দ্রীয় নেতাকে জামায়াত সমর্থন দেওয়ায় প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন তিনিও। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তরুণ এই নেতা ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ সাড়াও ফেলেছেন।
নিজামুল হক বলেন, ‘এবারের নির্বাচন হবে তারুণ্যনির্ভর। তরুণরা যেদিকে ঝুঁকবে, সেদিকেই জয়ের পাল্লা ভারী হবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছি, যার প্রমাণ পাওয়া যাবে নির্বাচনে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
এদিকে এনসিপির কমিটি ঘোষণা না হলেও দলটির কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আবুল হাসনাত হাসনাইন এলাকায় নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত আছেন। এর আগে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও লড়েছেন।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা)
পর্যটন এলাকা চরকুকরি, বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরা, সাগরবেষ্টিত ইউনিয়ন ঢালচর, পাতিলা মিলে এ সংসদীয় আসন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও দুর্গম। জেলা ভাগ হওয়ার পর এক দশক রাজত্ব করেছে জাপা ও আওয়ামী লীগ। পরে ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী ও ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলমের হাত ধরে এলাকাটি জাতীয়তাবাদীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়।
নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি দলের দুর্দিনে স্বৈরশাসনকে উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। এজন্য আগামী দিনে বিএনপি আমাকেই মনোনয়ন দেবে এবং আমাকেই তাদের পছন্দের মানুষ হিসেবে বেছে নেবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। তাকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিশাল গণসংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই হেভিওয়েট নেতা হওয়ায় এলাকায় পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। চরমে পৌঁছেছে দলীয় কোন্দল।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ আসনের মানুষ শান্তি চায়, মুক্তি চায়। আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ এ মানুষগুলোর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি কাজ করতে চাই। আশা করছি, আমার দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’
এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফোরামের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
এদিকে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন জামায়াতের একক প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। তিনি দলের সাবেক জেলা আমির ও ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি। বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় প্রচারে সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার ব্যাপক প্রচারণায় এলাকা মুখরিত। সামাজিক কার্যক্রমে সরব সম্পৃক্ততার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বেশ পরিচিতিও পেয়েছেন।
অধ্যক্ষ মোস্তফা বলেন, ‘জনগণ পরিবর্তন চায় আর এ পরিবর্তন যদি সুস্থধারায় হয়, তাহলে জামায়াত এ আসনে বিজয়ী হবে বলে আশা করছি।’
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, দলীয় কোন্দলের জেরে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া টেন্ডারবাজি, দখল ও চাঁদাবাজির কারণে জুলাই বিপ্লবের পরও জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফেরেনি। তাই আগামী নির্বাচনে যারা এসব অপকর্মের ঊর্ধ্বে থাকবেন, তাদেরই ভোট দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোলার গ্যাস ভোলায় কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ সামগ্রিক কল্যাণে যারা প্রতিশ্রুতি দেবেন, তারাই হবেন জনগণের প্রার্থী।
নির্বাচন বিশ্লেষক ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবিএম মজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে অবশ্যই বেপরোয়া অর্থনীতিমুক্ত রাখতে হবে। রাজনীতিবিদরা মনে করেন, প্রচুর অর্থ খরচ করে নির্বাচিত করলে জয়ী হওয়ার পর এগুলো জনগণ থেকে উত্তোলন করবে। এটা তাদের ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ছাড়া জনগণকেও সচেতন হতে হবে যেন কোনো দুর্নীতিবাজ, অসৎ, চাঁদাবাজ ও কালো টাকাওয়ালা নির্বাচিত না হন।