ইলিয়াস আলী গুমের পর তার স্ত্রী ও সন্তানকে গণভবনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। র্যাব সদস্যরাই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ সাক্ষাতের আয়োজন করেছিল।
এ গুমের সঙ্গে কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রী জড়িত নন, তা বোঝানোর জন্য এই সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়। এসএসএফের তৎকালীন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে আরও জানা গেছে, সেই দিন তিনি একটি পুরোনো শাড়ি খুঁজে এনে পরেছিলেন।
ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনা শুনে শেখ হাসিনা যে মর্মাহত তা বোঝানোর জন্যই এই নাটক করেন তিনি। ইলিয়াস আলীকে গুম করে হত্যার জন্য শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।
তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী সংশ্লিষ্টদের ডেকে এ দায়িত্ব দিতে চাইলে অনেকের পরামর্শ ছিল এ কাজ করা ঠিক হবে না। অবশেষে এই কাজে এগিয়ে আসেন র্যাবের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল হাসান। নিরাপত্তা সংস্থার তৎকালীন এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নিয়ে বলেন যে, 'ইলিয়াস আলীকে সরিয়ে দিতে হবে।
সে সিঙ্গাপুরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তোমাকে হত্যার জন্য। তাকে তুলে নাও।' ওই কর্মকর্তা বলেন, এ কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাই এবং তাকে সবিনয়ে বলি এটি করা ঠিক হবে না। এর কিছুদিন পর শুনি ইলিয়াস ঘুম হয়েছেন। পরে দেখি গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর স্ত্রী-সন্তানকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ দিয়েছেন, মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন এবং তার পরনে পুরোনো শাড়ি।