Image description

গত ১৭ জুন ভোলা থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রদল কর্মী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা। ৪দিন পর শুক্রবার (২২ জুন) রাতে লক্ষ্মীপুর সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আক্তার হোসেন ও জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ।

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে আব্দুল মোন্নাফ বলেন, শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশকে খবর দিলে ওইদিন রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরবর্তীতে মরদেহের পরিচয় পেতে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার (২১ জুন) আইনি প্রক্রিয়া শেষে লক্ষ্মীপুর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃক মরদেহটি দাফন করা হয়। এ ছাড়াও নৌ পুলিশ লক্ষীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ভোলা সদর মডেল থানায় ইস্পিতার বাবার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির আলোকে ইপ্সিতার পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। পরে ইস্পিতার বাবা মরদেহের ছবি দেখে নিশ্চিত হন। বিষয়টি ইস্পিতার বাবা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতা ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেত্রী ও অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৭ জুন সকালের দিকে বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে বের হন তিনি। পরে আর সে বাসায় ফিরেনি। এ ঘটনায় ইস্পিতার বাবা মাসুদ রানা ভোলা সদর মডেল থানায় একদিন পর নিখোঁজ দাবি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জানা গেছে, গত ১৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া এমভি কর্নফুলি-৪ লঞ্চের একটি কেবিন বুকিং ইস্পিতা এবং সেখানে উঠেন তিনি। পরে লঞ্চটি কালিগঞ্জ ঘাট পার হলে লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। এ সময় যাত্রীদের চিৎকারে লঞ্চটি দাঁড় করানো হয় এবং তাকে দেখে লাইফ বয়া ফেলানো হয়। কিন্তু নদীতে অতিরিক্ত ডেউ থাকায় ডুবে যান তিনি।

এ ঘটনায় লঞ্চে থাকা অন্য আরেক নারী ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঝাঁপ দেওয়া তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ দেয়। পরে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ওই লঞ্চ থেকে দুইজন স্টাফ ও অভিযোগকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ঘটনার প্রাথমিক তথ্য জেনে তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ইস্পিতার বাবা মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খুঁজে বের করার জোর দাবি জানাচ্ছি।