
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের (সিডিএ) সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন উনার টিম নিয়ে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের বিষয়গুলো আছে, বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়ে। একটা বড় ট্যারিফ আমেরিকানরা বাংলাদেশের ওপর দিয়েছে, সেটার ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, এই ট্যারিফ বাংলাদেশ কিভাবে হেন্ডেল করবে।
‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে ট্যারিফের ব্যাপারে। আমরা এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সহযোগিতা করে এই বিষয়ে একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ট্যারিফ যদি উচ্চ মূল্য বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রফতানি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করবে এবং সহযোগিতা করবে, যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়।’
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কিভাবে আরো বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে কথা বলেছি।
আমীর খসরু বলেন, ‘লন্ডনে তারেক রহমান সাহেবের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছে এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে একটা দেশের মধ্যে বড় ধরণের স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয় তো মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছে, এটা তো স্বস্তির ব্যাপার। সবাই জানে যে ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি, সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণ সিদ্ধান্ত হওয়ায় সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, দেশের পার্টনার যারা আছে, তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে।’