
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষিত আসন না রেখে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
পোস্টে তিনি লেখেন, ১০০ আসনে নারীরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়ার যে বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিজেরাও একমত হতে পারেনি। তাদের মধ্যেই মতপার্থক্য রয়েছে যে, কোন প্রক্রিয়ায় তারা ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। ইতোমধ্যে ঐকমত্য কমিশনকে আমি এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেননি যে, তারা আসলে কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করার প্রস্তাব করছে। আমি মনে করি ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের বিষয়ে আগে জাতির সামনে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রস্তাবনা হাজির করতে হবে। তখন জনগণ স্পষ্ট বার্তা পাবে ও মতামত দিতে পারবে।
তিনি লেখেন, এখন যে বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে সেটা এমন যে, ধরুন, আসন সংখ্যা যদি ৩০০/৩৫০ থাকে। তাহলে এর মধ্যে ১০০ শুধু নারীদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। ৩০০ আসন থেকে বাড়িয়ে ৪০০ আসন করলে, সেখানেও ১০০ আসন ছেড়ে দিতে হবে। এখানে শুধু নারীরা নির্বাচন করতে পারবে, কোন পুরুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অতীতের যে সংরক্ষিত নারী আসন সিস্টেম ছিল, এটাও অনেকটা ঐরকম। পার্থক্য এতোটুকু যে, দলগুলো আগে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সংরক্ষিত আসন ফিলাপ করত। এখন দলগুলো প্রার্থী নির্ধারণ করে জিতিয়ে আনবে ও নমিনেশন দিবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারী বা পুরুষের জন্য কোনো আলাদা সিস্টেম নেই। নারীরা এখানেও বেশ ভালো করছে।
রাশেদ লেখেন, এক্ষেত্রে আমার মতামত এমন যে, দেখুন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রায় সমান হারে চান্স পাচ্ছে। ৩০০ আসন পুরুষের, ১০০ আসন নারীর! এটাও একধরনের প্রশ্ন তৈরি করবে।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা লেখেন, এক্ষেত্রে আমার মতামত হলো জনগণের কাছে কোটা মনে না হয়, এমন কোনো কিছু না করে বরং দলগুলোর উপর আইন আরোপ করা যায়, দলগুলো ৪০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসনে নারীদের নমিনেশন দেবে। সেক্ষেত্রে শুধু নারীদের মধ্যে নির্বাচন নয়, বরং যে কোনো আসনে নারী-পুরুষের যে কারও মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে। এতে ১০০ আসন শুধু নারীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না, এমন বার্তা যাবে না। বার্তা যাবে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই নারী জিতে এসেছে। এতে নারীর মর্যাদাও বাড়বে।