
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় আজ মঙ্গলবার অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
আজকের আলোচনায় জামায়াতের অংশ না নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনা শুরু হয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র বলেছে, আজকের বৈঠকে জামায়াত থাকবে না—এ বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে জামায়াতকে ‘ইগনোর’ করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি। এর প্রতিবাদ হিসেবে তারা আজকের বৈঠকে যোগ দেবে না।
অবশ্য কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পরে হলেও জামায়াতকে বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ঈদের আগের (৩ জুন) বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ। সেদিন সকালে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন থাকায় দুপুরের বিরতির পর দলটির প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
জামায়াত বাদে আজকের বৈঠকে বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।
বৈঠকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্বসহ বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হওয়ার কথা। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ), প্রধান বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ বেশ কিছু বিষয় আলোচনার কথা রয়েছে।
১৭, ১৮ ও ১৯ জুন—এই তিন দিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে কমিশনের।
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন সদস্য আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।