
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত বৈঠকে বসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী বৈঠক চলবে ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেনের দি ডচেষ্টারে। চার দিনের সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তারেক রহমান নির্ধারিত সময়ের আগেই হোটেলে পৌঁছান। তার সাথে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমি খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হুমায়ূন কবির।
তারেক রহমানকে হোটেলের প্রবেশ পথে রিসিভ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস টিমের সদস্যরা। সোজা থাকে বৈঠকের জন্য নির্ধারিত লবিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারেক রহমানকে হোটেলের সামনে স্বাগত জানাতে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন পার্ক লেনে।
এই বৈঠক সামনে রেখে বুধবার লন্ডনে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, দুই নেতা একান্ত বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা প্রত্যাশা করছি, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে, বাংলাদেশের সংকট সমাধানের ইতিবাচক ভূমিকার পথ উন্মুক্ত হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার সাথে তারেক রহমানের বৈঠককে ঘিরে দেশের নানা শ্রেনী-পেশার মানুষের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। রাজনৈতিক অঙ্গন, হোটেল-রেস্তারা, টেলিভিশনের টক শো, পত্র-পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ এই বৈঠকটি অত্যন্ত সময়োপযোগী বৈঠক। বাংলাদেশের সরকার প্রধান এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, এদেশের জনগণ আশা করছে,এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য দেশের জন্য দিক নির্দেশনামূলক এবং ভবিষ্য রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে ইতিবাচক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
‘‘ আমি মনে করি, এই বৈঠকের পর জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে চলমান ধোঁয়াশা কেটে যাবে।”
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পর মূলত কোনো দেশের সরকার প্রধানের সাথে এটিই তার প্রথম একান্ত বৈঠক।
গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা্ন তারেক রহমান দলের একাধিক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে হবে ঘোষণা দিয়েছেন।
এরই মধ্যে ঈদুল আজহার আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথম সাপ্তাহের কোনো একদিন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। যা বিএনপির নেতা-কর্মী হতাশ ও অসন্তুষ্ট হয়।
আমারদেশ