
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ১০ মাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষের উপর অন্তত: ১৬টি হামলা করেছে। অন্যদিকে এ সময়ে নিষিদ্ধ দলটির নেতাকর্মীরা ১৪টি হামলার শিকার হয়েছে। এই সহিংসতার পরিসর ছড়িয়ে পড়ে দেশের ছোট শহর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, এমনকি জনপদের অলিগলিতে। সাম্প্রতিক হামলা-সংঘর্ষের ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ধারণা করা হয়েছিল- সংগঠনটি হয়তো ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে কিংবা প্রতিশোধের রোষানলে আক্রান্ত হবে। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। ক্ষমতার বাইরে থেকেও হামলায় ছাত্রলীগের সক্রিয় থাকার নজির তৈরি হয়েছে। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বারবার জড়িয়েছে সহিংসতায়। সুস্থ সমাজের জন্য যে কারও জন্যই হামলা করা বা শিকার হওয়া দু:খজনক। কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে বা আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ না করলে দেশের রাজনৈতিক রূপান্তরের এ সময়ে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের অনুসন্ধান বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে চলতি ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সময়কালে ছাত্রলীগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১৬টি ঘটনায় হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। একই সময়ে তারা নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায়।
দীর্ঘ ১৪ বছরের একক শাসনের ফলে দেশের শিক্ষাঙ্গনে এবং সামাজিক পরিসরে গড়ে উঠেছিল ছাত্রলীগের অপ্রতিদ্বন্দ্বী আধিপত্য। এই আধিপত্যের ফলে বিগত বছরগুলোতে তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে—হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে দখল ও সিট বাণিজ্য, যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি পর্যন্ত। আর এই কর্মকাণ্ডের বহু তথ্য প্রামাণ্যভাবে প্রকাশিত হয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যমে।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়ে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নেও কঠোর হতে হবে—রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ
নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ছাত্রলীগের আগ্রাসী তৎপরতা থেমে থাকেনি। মুন্সিগঞ্জ, পিরোজপুর, টাঙ্গাইল, সিলেট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ এবং রাজধানী ঢাকা—সব জায়গাতেই তারা হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের কর্মী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
ছাত্রলীগের হামলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনার একটি গত ৫ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষ। এতে আহত হন ১২ জন। অভিযোগ, ছাত্রলীগ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। পিরোজপুরের কাউখালিতে ২৮ মার্চ ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে সাতজন ছাত্রদল কর্মী আহত হন ছাত্রলীগের হাতে। এর আগে, ২৪ নভেম্বর নেছারাবাদে শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হাহা’ ইমোজি রিয়্যাক্ট করার অপরাধে তিনজন ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
শিক্ষাঙ্গনেও সহিংসতার একই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত হন ছয়জন। ১৪ মে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ নেতা বারকাতের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন দুজন শিক্ষার্থী।
অপরাধ এবং সেই অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার পরিচয়, পেশা কিংবা রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের বিবেচ্য নয়। অপরাধের প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে— ইনামুল হক সাগর, এআইজি, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ, পুলিশ সদর দফতর।
তবে সবচেয়ে ভয়ানক ও আলোচিত ঘটনা ঘটে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে। ২৮ জানুয়ারি তরুণ প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান ছুরিকাঘাতে নিহত হন। নিহতের পরিবার সরাসরি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকে দায়ী করে। যদিও পুলিশ এখনো নিশ্চিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি, এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ও সন্দেহ দানা বাঁধে।
ছাত্রলীগের সহিংসতার লক্ষ্য কেবল প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠনেই সীমাবদ্ধ নয়। অরাজনৈতিক ও নাগরিক উদ্যোগেও হামলার অভিযোগ আছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী কর্মীদের ওপর হামলায় আহত হন তিনজন, যার একজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। সুনামগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইজন বৈষম্যবিরোধী কর্মী ধারালো অস্ত্রে আহত হন, এবং স্থানীয়রা ছাত্রলীগকে এ জন্য দায়ী করেন।
অন্যদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সহিংসতার শিকার হয়েছেন অন্তত ১৪টি ঘটনায়। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ঘটনাগুলোর পেছনে বড় রাজনৈতিক প্রতিশোধের প্রেক্ষাপট নেই। বরং এগুলোর বেশিরভাগই তাৎক্ষণিক জনরোষ, ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা স্থানীয় বিরোধের ফলাফল। চট্টগ্রামে ‘সাজ্জাদ গ্যাং’-এর গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী আফতাব নিহত হন, যা পুলিশ ‘অপরাধী গোষ্ঠীর কাজ’ বলে অভিহিত করেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা এবং গাইবান্ধায় সাবেক নেতা আল মামুন মণ্ডল অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে নিহত হন। অন্যদিকে, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা গণপিটুনির শিকার হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সাবেক নেতাকে মারধর করে কয়েকজন সাবেক ছাত্র, যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়াও ছাত্রলীগের আগের সহিংস অতীতেরই প্রতিফলন যেন। লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ, নাটোর এবং ঢাকার মিরপুরে ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। এইসব ঘটনায় অনেকে সন্দেহভাজন হিসেবে পূর্বের সহিংস কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে এনেছেন।
সব মিলিয়ে, ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকাণ্ড এবং তাদের ওপর ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনাগুলো একদিকে যেমন ক্ষমতার বাইরে থেকেও সংগঠনটির তৎপরতা ও প্রভাবকে তুলে ধরছে, অন্যদিকে জনসাধারণ ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে সংগঠনটির প্রতি গড়ে ওঠা প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষোভকেও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পরেও এই সহিংসতার কারণ হিসেবে কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে দোষারপ করছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন অপরাধ এবং সেই অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আমরা অপরাধ দমন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় হচ্ছে—অপরাধ এবং সেই অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার পরিচয়, পেশা কিংবা রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের বিবেচ্য নয়। অপরাধের প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
আমরা সব সময় চেষ্টা করছি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনা করতে এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়—এটি বারবার প্রমাণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে রয়েছে। এই আত্মগোপন অবস্থান থেকেই তারা বিভিন্ন জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। সরকার তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, সেটি কেবল নামমাত্র। নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা সরকারের মূল লক্ষ্য থাকার কথা থাকলেও, সরকার সে লক্ষ্যে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। একইভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমও কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে সরকারের মধ্যে স্পষ্ট নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যেসব কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, তা দৃশ্যমান নয় বললেই চলে। এই শৈথিল্যের কারণেই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এখনো আওয়ামী লীগের আগের মতো প্রভাব বিদ্যমান। আর সারাদেশজুড়ে সময় ও সুযোগ বুঝে তারা চোরাগোপ্তা হামলায় লিপ্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই যে, সুযোগ পেলে এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে যেতে পারে।
সুতরাং, দেশের জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি একটাই বার্তা—আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিষয়ে সরকারকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নেও কঠোর হতে হবে বলেও জানান রাশেদ খান।
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ আসামি ধরতে অস্বীকৃতি জানায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার না করায় তারা আরও বেপরোয়া হয়েছে বলেও জানান বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কোনো পুলিশ যদি এমন করে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে সেটি অন্যায় করছে। একজন আইন রক্ষাকারী ব্যক্তি যদি নিজেই আইন লঙ্ঘন করেন, তবে সেটি গুরুতর অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে কাজ করা। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবে যদি পুলিশ তার নিরপেক্ষতা হারায়, তবে তা দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হলে পুলিশের উচিত কোনো চাপ বা প্রলোভনের বাইরে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সে দায়িত্বে কোনো গাফিলতি করা কাম্য নয়।
রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক।
তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে পুলিশের আরও দৃঢ় ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রয়োজন। পুলিশ যেন কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার না হয়ে, নিজেদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে। তিনি আরও বলেন, তবে অপরাধে সম্পৃক্ত না হয়েও কেবল রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কেউ যাতে ‘ট্যাগ’ দিয়ে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।