Image description
ওবায়দুল কাদেরের দানবীয় ভাষা ভাইরাল

অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু স্ববিরোধী কর্মকা-, কিছু উপদেষ্টার বালখিল্য কথাবার্তা ও নানান ব্যর্থতায় ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে এক শ্রেণির মানুষ ‘আওয়ামী লীগই ভালো ছিল’ মন্তব্য করতে অভ্যস্ত হয়েছেন। এই শ্রেণির মানুষের ‘বিবেক ধাক্কা’ দিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন ভারতে পালিয়ে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের (কর্মকা-) সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার বক্তব্যে হিংস্র পশুত্বের প্রকাশ ঘটায় ‘আওয়ামী লীগই ভালো ছিল’ উক্তিকারীদের মুখে চুন-কালি পড়েছে। ইউটিউব চ্যানেল ‘নাগরিক টিভি’তে দেয়া ওবায়দুল কাদের সাক্ষাতকারের দানবীয় কথাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় তুলেছে। ভারতে পালিয়ে থেকেই তিনি হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। এর কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ১৩৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা বলছেন, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের গংদের দানবীয় বক্তব্যে ‘কুত্তার লেজ সোজা হয় না’ প্রবাদটির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। হিন্দুত্ববাদী ভারতে পলাতক হাসিনা এবং তার দোসর ওবায়দুল কাদের যে ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন সেটা ‘আগের আওয়ামী লীগ ভালো ছিল’ দাবিদারদের গালে থাপ্পড় মেরেছে। এখন ‘আওয়ামী লীগ ভালো ছিল’ বিবেকহীন বক্তব্য দেয়ার আগে আওয়ামী অনুচররা হোঁচট খাবে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৪শ’ মানুষকে গুলি করে হত্যা, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা, স্নাইপার দিয়ে মানুষ হত্যা, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে পালিয়ে যাওয়ার পরও শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের গংদের সামান্যতম অনুশোচনা নেই। হাসিনার প্রতি ঘৃণা থেকে দেশে এখন কারোঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মা-বাবারা হাসিনা নাম রাখবেন না। একই চিত্র কাউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদেরের বেলায়। হাসিনা-কাদের গং এতো বিবেকহীন যে হাজারো অপরাধ-অপকা-ের পর পালিয়ে গিয়েও তাদের হিংস্রতা থেমে নেই, প্রতিশোধ পরায়তা কমেনি।

দেশের মানুষকে আক্রমণ করার হিংস্রতা থেকে একচুলও সরে আসেনি আওয়ামী লীগের নেতারা? গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর ৯ পরও নিজেদের কৃতকর্মের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুশোচনার বদলে পুরো বিষয়টিকে এখনো ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে মনে করে দলটি। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলন দমনে পৈচাসিক ও নিষ্ঠুরতা চালানোয় যত প্রাণহানি হয়েছে, সেটির দায় স্বীকার করে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেনি। উল্টো জনগণ ও গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ফিরে এলে আপনারা দেশে থাকতে পারবেন না? ভারতে ‘আত্মগোপনে’ থেকে শীর্ষ নেতারা হুংকার দিচ্ছেন দেশে ফিরলে অন্যদের বিপদ হবে! বুনো শুকরের মতো বেয়াড়া বিবেকহীন মানষকে যেমন সংশোধন করা যায় না; বহু ঘাত-প্রতিঘাতের পরও আওয়ামী লীগ নেতাদের অবস্থা অনেকটা সেরকমই।

ভারতে পালিয়ে থাকা ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষাতকার নেন নাগরিক টিভির এডিটর ইন চিফ নাজমুস সাকিব। সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অভ্যুত্থানের দিন তিনি ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন। আন্দোলনকারী ছাত্রনেতারা টাকার বিনিময়ে তাকে বাঁচিয়েছে, সেখান থেকে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছে এবং পরে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। ওবায়দুল কাদের কত টাকা ব্যায় করে ভারতে পালিয়েছেন, কারা টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে রেখেছিল সে ব্যাপারে অবশ্য মুখ খোলেননি। এর আগে দিল্লিতে দাদাদের কোলে ‘দোল’ খাওয়া শেখ হাসিনা দেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী নেতাদের আন্দোলনকারী ছাত্রনেতা-বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বাসাবাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি কাউকে ছাড়বো না। আমার বিরুদ্ধে মামলা করা ১৩৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। আমি চট করে দেশে ঢুকবো ওদের হত্যা করবো’। ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য অনুযায়ী মোটা অংকের টাকা ছাত্র নেতাদের হাতে তুলে দিয়ে তিনি প্রাণ নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওবায়দুল কাদের প্রথমে ভারতের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাতকার দেন। সেটা দেখে ‘নাগরিক টিভি’ তার সাক্ষাতকার নেন। যদিও সাক্ষাতকারের মাঝপথে ওবায়দুল কাদের বিক্ষুব্ধ হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভি’র সাংবাদিক নানা বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন করেন। সাংবাদিক প্রশ্ন-ইন্ডিয়ান গণমাধ্যমে আপনার (ওবায়দুল কাদের) ইন্টারভিউ দেখলাম, খুব ভাইরাল হলো। ওটা নিয়ে একটু জানতে চাচ্ছিলাম। বলা হচ্ছে, ৫ আগস্ট বাথরুমে আপনাকে নাকি পালিয়ে থাকতে হয়েছিল। তারপর ছাত্রদের সহায়তায় আপনি প্রাণে বেঁচে যান? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এছাড়া কি উপায় ছিল?’ আপনি কি তাহলে বলতে চান যে, ছাত্ররাই আপনাকে রক্ষা করেছে? তখন কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ এটাও তো ঠিক।’ প্রশ্ন : ওই সময় মানুষের মনে যে ক্ষোভ ছিল আওয়ামী লীগের প্রতি বা আপনাদের প্রতি। সে সময় ছাত্ররা আপনাকে রক্ষা করবে অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হচ্ছে না? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওরা (ছাত্ররা) বলছিলো, আপনার প্রতি রাগ ছিল। কিন্তু আপনার সামনে এসে আমাদের রাগ পানি হয়ে গেছে।’ এরপর তো আপনি তিনমাস দেশেই ছিলেন? কাদের বলেন, ‘হ্যাঁ ছিলাম।’ দেশ থেকে তাহলে গেলেন কীভাবে, ওখানে কারা আপনাকে সহযোগিতা করলো, এটা কি বলা যাবে? পাল্টা প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা কি বলা যায়? তিনমাস পরে বাড়িতে বাড়িতে যেভাবে তল্লাশি, বাড়িতে বাড়িতে অভিযান, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তল্লাশি..., তখন শরীরটাও একটু সমস্যায় পড়ছিল। অনেকগুলো ওষুধ খেতে হয়। আমি ভাবলাম অ্যারেস্ট হলে তো আমাকে ওষুধ খাওয়ানোর লোক নেই। অনেককিছু চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম ওখানে আর থাকবো না, এই আর কি।’ তিনমাস যে আপনি থাকলেন, এই সময়ে তো আপনি বুঝতে পেরেছেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে মানুষের ক্ষোভ, এই ক্ষোভটাকে আপনি কি মনে করেন না যে যুক্তিযুক্ত ছিল, কারণ সাড়ে ১৫ পনের বছর যা করলেন? কাদের বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরে পদ্মা সেতুও তো আমরা করেছি। মেট্রোরেল তো আমরা করেছি।

ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েও তো আমরা করেছি।’ ২০১৮ সালে রাতের ভোট, ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? কাদের বলেন, ‘এগুলো আলোচনার অপেক্ষা রাখে! সেগুলো চর্চা করার বিষয় আছে। আমাদেরও একটা দৃষ্টিকোণ আছে। বেশিরভাগ লোক চায় শেখ হাসিনা আবার আসুক এবং শেখ হাসিনাকে আবার চাই। এ কথা আজ মানুষের মুখে মুখে। ইলেকশনটা হলে বুঝবেন।’ পাবলিক পারসেপশন হচ্ছে আপনি দেখেছেন, শেখ হাসিনা যদি সত্যিই ওই সিচুয়েশন থাকতো তাহলে দেশে থাকতেন। উনাকেতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এটা কি তার রাজনীতির জন্য একটা লজ্জাজনক অধ্যায় না? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নো, আমি এটা মনে করি না। তখন তার বেঁচে থাকার প্রয়োজন ছিল। কারণ তাদের সেদিন প্ল্যানই ছিল তাকে কিল করবে।’ বেগম খালেদা জিয়াও তো মারাত্মক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু কই, উনি তো কম্প্রোমাইজ করেননি। কম্প্রোমাইজ করলে তাকে বিদেশে যেতে দিতেন। তিনি তো তা করেননি। কিন্তু আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তো কম্প্রোমাইজ করে ভারতে চলে গেলেন! ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘না, কম্প্রোমাইজ করে যাননি। তাকে (শেখ হাসিনা) বাঁচার দরকার ছিল। সে জন্য চলে আসছেন।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে আপনারা অপিনিয়ন পোল নেন, মানুষ কাকে সমর্থন করে। আমি সে কথায় যাচ্ছি বারবার।’ আপনি (কাদের) যেহেতু আওয়ামী লীগ করেন, আপনি ভাববেন বা বিশ্বাস করেন...? কাদের বলেন, ‘আমি সে কথা ভাববো কেন। দেশের পাবলিক অপিনিয়ন কী এটা আপনি জানেন না? আপনি তো বায়াসড! হোয়েন ইউ আর এ বায়াসড অ্যাজ এ জার্নালিস্ট।

আপনি ঢালাও অভিযোগ করছেন।’আপনাদের এখনো কি কোনো অনুশোচনা বা আত্মোপলব্ধি হয়েছে, মানে আপনারা যা করেছিলেন সেগুলো সঠিক ছিল না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আত্মোপলব্ধি, আমাদের আত্ম-সমালোচনা থাকতে পারে এবং সেটা নিয়ে আমরা চর্চা করবো। যখন আমরা দেশে ফিরবো। সেখানে আলোচনা করে যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে ভুল স্বীকার করবো। সেটা দেশে, বিদেশে বসে নয়।’ দেশে যাওয়ার মতো বাস্তবতা কি হবে আদৌ হবে? কারণ আপনাদের নেতাকর্মীরা তো সবাই পলাতক, বেশিরভাগই, কাউকে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি না? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দি সান রাইজেস এ... বাট ডিনাই... বিফোর। এই ইংরেজিটার বাংলা একটু আপনি ভাবেন। এই ধরনের অবস্থা থেকে উই ক্যান গেট আউট অব দিস...। এখন আমরা যে অবস্থায় আছি। উই ক্যান গেট আউট অব দ্য গ্যাটার। আমি সেটাই মনে করি।’ এই গ্যাটারে আপনারা পড়লেন কেন? কাদের বলেন, ‘আমি আপনাকে বলছি, মানুষ এখন কেন মনে করছেনÑ এমন আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে, সেই ‘জঙ্গি’ উত্থানে। তারাও কেন এখন মনে করছে, তারা ভুল করেছে।’ মানুষ যদি আপনাদের পক্ষে থাকে তাহলে দেশে আসছেন না কেন? জবাবে কাদের বলেন, ‘সময় হলে দেখবেন।’

আপনাদের সময়তো অনেক ব্যবসায়ীক দুর্বৃত্ত তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তো আপনার কি মনে হয় না এই যে এতো সুসময়ের পাখি আপনারা তৈরি করেছিলেন যারা আপনাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া পত্রিকাকে কাজে লাগাচ্ছেন, কেমন লাগে আপনার কাছে? রাগান্বিতভাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনার এই চেহারাটা, বক্তব্যটা কোথায় যাবে? যদি আমরা ফিরে যাই। তখন তো আপনাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। মানে কি আপনি কি আবার ওই প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হয়তো রিসেন্ট একটা রাজনৈতিক ক্যারেক্টার আছে সেটার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন।’ নাজমুস সাকিব বলেন, ‘না আমি সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে জাস্ট প্রশ্ন করছি।’ কাদের বলেন, ‘ইউ আর নট আ জার্নালিস্ট, ইউ আর বায়াসড। পার্শিয়াল জার্নালিস্ট।’ জার্নালিজমের একটা নিউট্রালিটি থাকে। এইটা আপনার নাই। আপনিতো ----’। আপনার কী মনে হচ্ছে না জনগণের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা --?। কাদের বলেন, ‘জানার দরকার নাই। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু টক টু ইউ। আপনার প্রশ্নের মধ্যে তো আপনার পার্শিয়ালিটির প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। আপনি একটা পলিটিক্যাল ক্যাম্পের সাথে জড়িত। সেটার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। প্রশ্ন এভাবে করে না। একজন নিউট্রাল জার্নালিস্টের প্রশ্ন এইরকম হয় না।’আপনারা কি কখনই জনগণের কাছে আপনাদের অতীত কর্মকা-ের জন্য ক্ষমা চাইবেন না? ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি সে কথার জবাব দিয়েছি। শুনতে পাননি? আমরা যাই করবো দেশে গিয়ে করবো।’ আমরাও আপনাদের দেশে আসার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনি ভালো থাকবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তখন আর আপনাদের দেখা যাবে না।’ আপনারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন। দেশে আসলে আমাদের একবারে শেষ করে ...।’

১৯৮১ সালে ভারত থেকে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার পর লন্ডন সফরে গিয়ে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি রাজনীতিতে এসেছি পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে’। হাসিনা কার্যত পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। পাশাপাশি ভারতের চানক্যনীতি কাজে লাগিয়ে মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা ১৫ বছর দখলে রেখেছিলেন। ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে সর্বগ্রাসী অরাজকতা করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরও দলটির নেতাদের মধ্যে অতীত অপকা-ের জন্য সামানতম অনুশোচনা নেই। উল্টো নরেন্দ্র মোদীর শেল্টারে থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা আরো অতিমাত্রায় ‘বেপরোয়া’ ও ‘হিংস্র’ হয়ে উঠেছে।