Image description

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পক্ষে-বিপক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’পক্ষ। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, জামায়াত নেতার মুক্তির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট (বাম) মশাল মিছিল আয়োজন করে। অন্যদিকে, শাহবাগী’দের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের। এ সময় তাদের সাথে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, এতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে তৎক্ষণাৎ আহতদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

শাহবাগবিরোধী ঐক্য মঞ্চের মিছিলে 'শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'বামদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'ছাত্রফ্রন্টের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে', 'শাহবাগীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না', 'বিচার বিচার বিচার চাই, শাহবাগীদের বিচার চাই' এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

শাহবাগবিরোধী ঐক্যের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র কর্তৃক সিদ্ধান্ত আসার পরেও যারা মেনে নেয় না। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শাহবাগে একটা মবতন্ত্র কায়েম করেছিল। তারা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল সেটা ২০২৪ সালে এসে বিশ হাজারের অধিক ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে ক্লোজ হয়েছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা আবার মিছিল করছে। এজন্য আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা পেছন থেকে মশাল নিয়ে হামলা চালায়। এ হামলার দায় আমরা তাদের ওপর দিবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমরা শাহবাগীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেই মিছিলে বামপন্থিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে শাহবাগবিরোধী মিছিলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের কিছু ভাইকে আহত করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে শিবির-বামই যথেষ্ট।

এদিকে 'একাত্তর হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা', 'তুমি কে আমি কে, ৭১-২৪', 'চিহ্নিত রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো', 'রাজাকারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'হেরে গেছে হাসিনা, ৭১ হারেনি' এমন সব স্লোগান দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) রাকিবুল ইসলাম বলেন, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের অবৈধ মুক্তির ঘোষণা বাতিলের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করেছিলাম। এসময় শাহাবাগীবিরোধী ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে শিবিরের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মী এবং শাখা শিবিরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।