Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ভালো খেলছেন,কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রাশেদ খাঁন বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক স্থবিরতার মূল কারণ উপদেষ্টা পরিষদের অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য এবং অযোগ্য নেতৃত্ব। তিনি দাবি করেন, মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে বিদেশি স্বার্থ রক্ষায় একাধিক উপদেষ্টা সক্রিয় থাকায় সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।

পোস্টে তিনি বলেন, মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে। এই দুটো বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হলেই উপদেষ্টা পরিষদ বাগবাকুম করতে থাকবে। এখন প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে যে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে, তার পেছনেও রয়েছে বিদেশি প্রভুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চাপ।

তিনি আরও বলেন, দেশের সিকিউরিটি থ্রেট তাদের কাছে মুখ্য বিষয় না, এনজিও চালিয়ে পয়সা পাঁতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। ১০ মাসেও সরকার যদি কোন সংস্কার করতে না পারে, সেই ব্যর্থতা কার? সংস্কার কি কোন পুথিগত আলাপ দিয়ে সম্ভব? এইজন্য দরকার সকল দলের অংশগ্রহণে ঘনঘন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু সেটি করা হয় না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখনো পর্যন্ত দলগুলোকে নিয়ে এক টেবিলে বসে মন খুলে কোন আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নামেমাত্র ইস্যুভিত্তিক ২ টা সংলাপ ডেকেছে, প্রতিটা দলের ১ জন করে ২-৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। সেটাও আবার সংস্কারের জন্য সংলাপ নয়। ১০ মাসেও যদি রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসিয়ে সময় নিয়ে আলোচনার করার উদ্যোগ তারা না নেয়, ঐকমত্য কি আপনা-আপনি হয়ে যাবে?

রাশেদ খাঁন আরো বলেন, সবকিছু আবেগ দিয়ে হয় না, বাস্তবায়নের জন্য যোগ্য লোকের প্রয়োজন হয়। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সব থেকে বড় দুর্বলতা তার সাথে যোগ্য লোককে তিনি নেননি। ছাত্রদের পরামর্শে একদল অনভিজ্ঞ, বিতর্কিত লোকজন দিয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন। আর এজন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে যে, ১০ মাসেও উপদেষ্টাদের কাজের সফলতা, রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, গণহত্যার বিচারে তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।

তিনি বলেন, এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভাল টিম না পেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না। এ কারণেও ১০ মাসে কোন সংস্কার হয়নি।