Image description
 

মোহাম্মদপুর থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক নেতাদের বিষয়ে কেন থানায় গিয়েছেন, তা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ।মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেন।স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ লেখেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআ'র আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মবসৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআ'র পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল।’

‘এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ রুজু করেননি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তীতে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত এরেস্ট হবে।’ডিএমপিকে তাদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে বলেও লেখেন হান্নান মাসউদ।

এর আগে সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে একজন পাবলিসার্সকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তার বাসার সামনে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।পরে মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু।এই প্রসঙ্গে হান্নান মাসুদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এমনি খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটা মীমাংসা করা হলো। এই ঘটনায় বাইরের অনেকেই জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’