Image description

সম্প্রতি বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। হাসিনা সরকার পতনের পর তেমন প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও পুরস্কার নিতে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে ।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে এই অভিনেতার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দ্রুত ভাইরাল হয়।  এতে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ইশরাক। 

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দেন ইশরাক হোসেন।  সেখানে তিনি লেখেন, ‘বিতর্কিত চঞ্চল চৌধুরীকে আমি চিনতাম না’। তবে চঞ্চলের মতো অভিনেতাকে না চেনার বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না নেটিজেনরা। ফলে নতুন করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইশরাক।

চঞ্চলের সঙ্গে ইশরাকের ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিয়ে কবি সৈয়দ জামিল লেখেন, ‘ইশরাক ভাই, আর সার্কাস দেখায়েন না। অলরেডি সুশীল বিএনপি আপনার ওপর বিরক্ত।’

আসাদুজ্জামান পারভেজ নামের একজন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, ‘জোক্স অব দ্য ইয়ার, ক্ষমতার লোভে আশপাশে তাকানোর টাইম না, আগে ক্ষমতা লাগবে।’

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন লেখেন, ‘দুর্ভাগ্য, মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মতো বীর সেনানীর সন্তান, এতো কম সময়ে, কিসের মোহে সব কিছু ভুলে গেলেন।’

মাজহারুল হাইদার রেফাত লেখেন, ‘এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হলো? আপনি সাদেক হোসেন খোকা সাহেবের সন্তান হয়ে এই যুক্তি কিভাবে দেন ভাই?’

এর আগে ক্ষমা চেয়ে পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার ১৬ মে একটি স্বনামধন্য প্রথমসারির স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলর কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসাবে অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের জন্যে যোগ দেই।

সেই অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন, আমার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করতে হবে এই বিষয়গুলো কিছুই জানা ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানটিতে একজন অতি বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ওঠে যাকে আমি আগে চিনতাম না এবং তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না।

২০১৫ সালে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তখনকার অনেক সেনসিটিভ ঘটনা আমার চোখে এড়িয়ে যায়। এটা আমার সীমাবদ্ধতা, আমার জানা উচিত ছিল। এই ছবিটি দেখার পর আমার অনেক প্রাণপ্রিয় ভাই ও সহযোদ্ধাদের মনে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। আমি সেটার জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হওয়ার কথা দিচ্ছি।’