Image description

অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুয়া তালিকা তৈরির অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা কমিটির চারজন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৯ মে) পদত্যাগ করে তারা নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে পদত্যাগ পত্র তুলে ধরেন।

পদত্যাগকারী নেতারা হলেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জয়পুরহাট জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নাফি উল্লাহ দেওয়ান, যুগ্ম আহবায়ক ইসরাদ জাহান ইরাদ, যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ, এবং মামুনুর রশীদ।

এসময় তারা সবাই সংগঠনের ভিতরে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন, তাই এই পরিস্থিতিতে নৈতিক অবস্থান থেকে তারা সংগঠন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়েছেন।

 

ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ নাফি উল্লাহ দেওয়ান ১৯ মার্চ তারিখে তার পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, সংগঠনের অভ্যন্তরে বিদ্যমান দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদস্বরূপ এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি এই পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।

 

রাজু আহমেদ ১৫ মে তারিখে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে বলেন, বিভিন্ন সংস্কার ও সামাজিক কাজ করতে গিয়ে আমার দোষ-গুণ হয়তো আপনাদের চোখে পড়েছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমিও হয়তো করেছি।

ইসরাদ জাহান ইরাদ তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, নৈতিক অবস্থান থেকে এবং সংগঠনের দুর্নীতির প্রতিবাদে আমি পদত্যাগ করছি।অন্যদিকে, মামুনুর রশীদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় বলেন, আমার সোনার বাংলায় চোরের কোনো অভাব নেই। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলা কমিটি এবং তাদের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মিছিল-মিটিং থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। ‘জুলাই আহতদের’ ভুয়া তালিকার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ বলেন, জুলাই যোদ্ধা ও অন্যান্য বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আমি আজ রাতে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলবো তখন আপনারা সবকিছু ক্লিয়ার হবেন।