
একটি ভবনের ছোট্ট কক্ষেই চলছে একসঙ্গে চারটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম। রাজধানীর পুরানা পল্টনের ওই ভবনেই রয়েছে আরও অন্তত ১০টি দলের কার্যালয়। এদের অনেকেই সারাদেশে কার্যক্রম চালানোর দাবি করলেও বাস্তবে অনেক কার্যালয়ই থাকে তালাবদ্ধ।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। এদের বেশিরভাগেরই নেই কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি, নেই জনসম্পৃক্ততা। অনেকের কার্যালয় কেবল নামমাত্র। অথচ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য একের পর এক আবেদন জমা পড়ছে।
পল্টনের ওই ভবনের ছাদে চিলেকোঠার ছোট কক্ষে সারি ধরে বসানো হয়েছে একাধিক দলের নামফলক। অনেক দল একই কক্ষ ভাগাভাগি করে চলছে। এর মধ্যে একটি কক্ষে কাজ করছে চারটি দল।
দলগুলোর নেতারা ভাষ্য, দেশের বেশিরভাগ জেলায় রয়েছে তাদের কমিটি। দেশের স্বার্থে এবং ভোটের রাজনীতিকে ত্বরান্বিত করতে গড়েছেন রাজনৈতিক দল। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে ব্যক্তি স্বার্থে এসব দল গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্দেশ্য শুধুই কোনো জোটে গিয়ে একটি-দুটি আসন আদায় করা।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৫০টি। নতুন করে আরও ৪৬টি দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব দলকে নিবন্ধন দিলে নির্বাচনে জটিলতা বাড়বে, কারণ বাস্তবিক কোনো কর্মকাণ্ড বা দায়বদ্ধতা নেই তাদের।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=9GgZ2rYN63M