Image description

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আজ সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন জারির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “যদি কোনোভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেইফ বা নিরাপদ রাখার কোনো চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা আবার মাঠে নামবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “সংগ্রামী সাথী ও জনতা, আপনারা দেখেছেন—গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছি। সেটি হলো—বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিদ্যমান, তার প্রধান ধারক ও বাহক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেই দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি আমরা তুলেছি। তবে আমরা শুরু থেকেই বলেছি, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হতে হবে। এটি শুধু আমাদের দলের দাবি নয়, ছাত্র-জনতার মধ্য থেকেই এ দাবি উঠেছে। এনসিপি তাদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে।”

তিনি জানান, “আমরা আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেখি—নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারি হয়েছে এবং আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ সেই পরিপত্রটি আমরা হাতে পেয়েছি।”

সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “আমরা মনে করি, ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার জন্য ছাত্র-জনতার যে অবস্থান, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাঠামো ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ আমাদের পার্টির অনেক নেতা-কর্মীর ওপর আওয়ামী লীগের দোসররা হামলা চালিয়েছে—তাঁদের বাড়িঘরে, এমনকি তাঁদের বাবা-মায়ের ওপরও।”