Image description

অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার পুরোনো কৌশলের পথেই এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোকজন অবাধে প্রবেশ করছে। অথচ সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ বা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রোববার (১০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত শুভেচ্ছা শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি লোক দেখানো নামাজের কথা বলতেন। এ দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার পার্থক্য স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছে। তারা খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা করে, কারণ তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রের পক্ষে, আপসহীন এক নেতৃত্বের প্রতীক।

 

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, মানুষ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইলেও সরকার নীরব। এতে জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি আবদুল হামিদ কীভাবে দেশত্যাগ করেন? তার লাল পাসপোর্ট কি এখনও বৈধ? উপদেষ্টারা থাকতেও কেন এসব রোধ করা গেলো না!

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবাধে লোক ঢুকছে। অথচ সরকারের তরফে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ নেই। ভারতের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব, তা প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালায়। অথচ বাংলাদেশ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জল উদাহরণ, যা অনেক দেশের কাছেই ঈর্ষণীয়।