
ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
গত বুধবার রাতে হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। জুলাই হত্যাসহ দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনে সকল হত্যাকাণ্ডের দায়ে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি করে প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও পরে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
গত দুদিন টানা অবস্থান নিলেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আজও সমাবেশে ডেকেছে দলটি। তবে এর মধ্যে দলটির নেতাকর্মীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও ট্যাগিং করা হচ্ছে। যা নিয়েই এবার কথা বলেছেন হাসনাত। এসব কোনো কিছুতেই যে তাদের থামানো যাবে না সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এনসিপির শীর্ষ এই নেতা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে এনসিপির সবচেয়ে সোচ্চার এই কণ্ঠস্বর শনিবার তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেন, ‘আপনি আমাদের যেকোনো বাইনারিতে ফেলে ভাগ করতে পারেন। এসব ভাগ করে, ষড়যন্ত্র করে, ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না।’
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে বলেও জানান হাসনাত।
এর আগে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে শনিবারের কর্মসূচির কথা ফেসবুকে জানান হাসনাত। যেখানে তিনি বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে বিকাল তিনটা থেকে শাহবাগে ছাত্র-জনতার গণ-জমায়েত। সারাদেশের জুলাই-স্পটে ছাত্রজনতার গণ-অবস্থান।’
ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি-
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।
৩. জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।