Image description

২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন স্নাতকে (সম্মান)। তবে স্নাতক প্রথম বর্ষ পড়ার সময়ই চলে যান বিদেশে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন ছাত্রদলের এক নেতা।

ওই ছাত্রদল নেতার নাম মেহেরাব হোসেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জ এলাকার শেখপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদে রয়েছেন তিনি।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র ছিলেন মেহেরাব হোসেন। কলেজের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে ২০১৭ সালে তিনি এইচএসসি পাস করে একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি ছিলেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলে তাঁর ভর্তি বাতিল হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তিনি আবারও কলেজের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি কলেজের বিএমটিতে (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। কলেজ ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন, সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতির পদ পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন মেহেরাব। সে লক্ষ্যে আবার কলেজে ভর্তি হয়েছেন।

কলেজের শিক্ষার্থীদের তথ্য ঘেঁটে মেহেরাব হোসেনের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিএমটি ও এইচএসসি সমমানের। এরপরও এইচএসসি পাস একজন শিক্ষার্থী বিএমটি শাখায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি জেনে তাঁরা হতভম্ব।

ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের দাবি, আগের পদ বহাল রাখা ও নতুন পদের জন্যই মূলত মেহেরাব হোসেন আবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। কলেজ ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা শাহাদাত হোসেন নামের ছাত্রদলের এক কর্মী বলেন, ‘কৌশলবাজদের হাতে ছাত্রদলের পদ আটকে থাকায় নতুন প্রজন্মের তরুণেরা নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে ছাত্রদলের কার্যক্রমও দুর্বল হয়ে পড়ছে।’

জানতে চাইলে মেহেরাব হোসেনও একাদশ শ্রেণিতে আবার ভর্তির বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের আক্রোশের মধ্যে ছিলাম। তাঁদের হামলা–মামলার কারণে তখন কলেজে পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন আবার ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। অনিয়মিত হওয়ায় স্নাতকে ভর্তির বিষয়টি একটু জটিল, তাই একাদশে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির পদপ্রার্থী। দল যোগ্য মনে করলে আমাকে পদ দেবে।’
কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এইচএসসি পাস করেও একজনের আবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন।