Image description
 

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন একটি ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। তাঁর এই ফ্যাসিজমের সংজ্ঞা আপনি দিতে পারবেন না, কারণ এর জন্য নতুনভাবে সংজ্ঞা তৈরি করতে হবে।”

সম্প্রতি একটি টকশো অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন কি ফ্যাসিজমের একটি কৌশল কিনা?

জবাবে রাশেদ খান বলেন, “ফ্যাসিজমের আসলে পূর্বের কোনো উদাহরণ খুঁজে পাবেন না। এটি এক ধরনের নতুন নব্য ফ্যাসিবাদ, যার স্টাইল সম্পূর্ণ আলাদা। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নিজের আখের গোছানো—এই চেষ্টাও করেছেন তিনি। র‍্যাব, পুলিশসহ প্রতিটি বাহিনীকে কলুষিত করার এমন কোনো উপায় নেই যা তিনি অনুসরণ করেননি। কিন্তু শেষমেষ এই ফ্যাসিজম কোনো কাজে আসেনি, যখন সেই সেনাবাহিনী বন্দুকের নল ঘুরিয়ে হাসিনা বাহিনীর দিকে তাক করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ যখন প্রতিরোধের মুখে পড়েছে—তখনই কিন্তু হাসিনার পতন শুরু হয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “হাসিনা নতুন ফ্যাসিজমের জন্ম দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই ফ্যাসিজম ধরে রাখতে পারেননি।
আমরা এখন পরিবর্তিত। আগামীর এক নতুন বাংলাদেশের যে চিন্তা—সেই বাংলাদেশে এই ধরনের রাজনীতি আমরা চাই না।”

 

রাশেদ খান বলেন, “যারা সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারতেন—তাদের কাউকে কিনে ফেলা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো মামলা দেওয়া হয়েছে। যেমন, নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়েছিল, অথচ নূরের সাথে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। এরকম অসংখ্য মানুষকে তাঁর চরিত্র হননের মাধ্যমে হেয় করেছেন, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করেছেন—এটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটি চেহারা।”