Image description

চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুরাদুল আলমের (৩৫) বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা নুরুল আমিন। গতকাল রোববার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় মুরাদুলকে অভিযুক্ত করে তাঁর আরেক চাচা মুহাম্মদ এসকান্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন গতকাল রাতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নুরুল আমিন ভাতিজা মুরাদুল আলমের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি নয়াহাটের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয় ভিডিওতে।

থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নুরুল আমিন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে আসেন। এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসেন তাঁরই ভাতিজা সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদুল। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বিকেলে মুরাদুল তাঁদের ওপর হামলা করেন। পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় নুরুল আমিন, তাঁর ভাই এসকান্দর মিয়া ও তাঁর ছেলেকে।

আজ সোমবার দুপুরে আবারও লাইভে এসে এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুরুল আমিন।

এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা মুরাদুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে জায়গাজমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সমাধানও হয়েছিল। সামাজিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে মামলা করেছিলেন চাচারা। গতকালও এ নিয়ে সামাজিক বৈঠক ছিল। উত্তেজনার মধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের শার্ট নিজে খুলে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করেছেন তাঁর চাচা।

মুরাদুল বলেন, নুরুল আমিন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইমাম গাজ্জালী কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তা ছাড়া ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি মুরাদুলদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের বিরোধ হয়।

জানতে চাইলে প্রবাসী নুরুল আমিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমাকে আটকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মুরাদুলসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আমি চাঁদা না দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে তারা।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ থেকে মারামারি হয়েছে।