
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে নেপোলি আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা এখনো ভিআইপি মর্যাদা পাচ্ছেন। তাদেরকে ভিআইপি মর্যাদা দেন রাষ্ট্রদূত এটিএম রফিকুল হক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবিতে দেখা যায়- নেপোলি আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী কবির মোড়ল ও সদস্য সচিব মামুন হাওলাদার রাষ্ট্রদূত রফিকুল হকের সঙ্গে। দূতাবাসের ভেতরে তোলা ছবিতে তাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে করমর্দনের মুহূর্ত ধরা পড়েছে।
অন্য এক ছবিতে দেখা যায়, রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিতে টেবিলে নানা রকম খাবার পরিবেশন করে ওই দুই নেতাকে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। এ সময় দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান রিয়াদ হোসেন এবং প্রথম সচিব (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিকীকেও উপস্থিত দেখা যায়।
এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক প্রবাসী- একজন রাজনৈতিক নেতা কি রাষ্ট্রীয় দূতাবাসে এমন ভিআইপি মর্যাদায় আপ্যায়নের যোগ্য? সাধারণ প্রবাসীরা যেখানে জরুরি প্রয়োজনে ফোন করলেও সাড়া পান না, সেখানে দলীয় পরিচয়ে এমন বিশেষ সম্মান দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত?
অভিযোগ রয়েছে- রাষ্ট্রদূত রফিকুল হকের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে প্রথম সচিব (শ্রম) আসিফ আনাম সিদ্দিকী অতীতে সরাসরি আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্র ধরেই তারও স্থানীয় আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইতালি বিএনপির নেতাকর্মীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় দূতাবাস যেন এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে’।
অনেক প্রবাসী মনে করছেন, বিদেশে রাষ্ট্রীয় মিশনগুলো সব দলের, সব নাগরিকের। অথচ একশ্রেণির দলীয় প্রভাবশালীদের জন্য সেবা ও সম্মান বরাদ্দ থাকলেও, সাধারণ প্রবাসীদের জন্য সেখানে চরম অবহেলা ও অবজ্ঞা। এ বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।