Image description

লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘লন্ডনে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। আপনারা জানেন, ম্যাডাম উনার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবের বাসায় আছেন। ঈদের দিনটি উনি বাসায় আপনজনদের নিয়ে একান্তে কাটাচ্ছেন।”

‘‘বাসায় দুই পুত্রবধূ (ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান) আছেন… আছেন তিন নাতনি (ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাফিয়া রহমান, জাহিয়া রহমান)। ম্যাডামকে ঘিরে ঈদের সব আয়োজন তারাই সাজিয়েছেন।কারণ দীর্ঘদিন বছর পর ম্যাডাম তার আপনজনদের সাথে ঈদ করতে যাচ্ছে। বুঝতেই পারছেন এখানে অনেক আবেগ জড়িত।” 

খালেদা জিয়ার লন্ডনে এটি তৃতীয় ঈদ উদযাপন। এবার দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ঈদ পালন করছেন। এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরও আগে এক-এগারোর পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস‌্যদের সা‌থে ঈদ উদযাপন করেছিলেন।

‘কেমন আছেন খালেদা জিয়া’

খালেদা জিয়া কেমন আছেন জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘‘তিনি এই মুহূর্তে আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। আগে চাইতে তিনি বলতে পারেন আলহামদুলিল্লাহ উনি মাচ বেটার।”

‘দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা’

জাহিদ বলেন, ‘‘ম্যাডাম দেশবাসীসহ দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবও দেশবাসীদের আপনাদের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।”

গত ৮ জানুয়ারি শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডন পৌঁছান, হিথ্ররো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ডেভেনশায়ার প্লেসে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি করা হয়।

১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এই হাসপাতালে অধ্যাপক জন প্যাট্টিক কেনেডির তত্ত্বাবধায়ননে। এরপর লন্ডন ক্লিনিকে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস এর তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন থাকবেন খালেদা জিয়া।

৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

২০১৫ সালে লন্ডনে ঈদের পর ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ওই অনুষ্ঠানে মায়ের পাশে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও ছিলেন।

২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনকে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। করোনা সময়কালে সরকার তাকে বিশেষ কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদে কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।