Image description
 

টঙ্গির ইজতেমার মাঠকে জঙ্গির কারখানা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। সম্প্রতি, বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নেতা বলেন, চাব্বিশে মার্চ চইলা গেল, ষোলোই ডিসেম্বর চইলা গেল, একটা গান শুনলাম না, বিজয়ের। ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ওরা আসবে’। একুশে ফেব্রুয়ারি চইলা গেল, এক দিনের জন্যেও কানে কিন্তু বাজল না, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’— বরং একুশে ফেব্রুয়ারির মেলাটারে বানাই ফেলল ইজতেমার মাঠ। একটা জঙ্গির কারখানা।

ফজলুর রহমানের এই মন্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অনেকে আলোচনা সমালোচনা করছেন।

কেউ কেউ বলছেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেছেন। তাদের হয়ে বিএনপির এই নেতা বিভিন্ন সময় আবোল-তাবোল মন্তব্য করছেন। এমন একটা লোক বিএনপির রাজনীতিতে কীভাবে থাকে।

উল্লখ্য, ফজলুর রহমান একজন আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন। এছাড়া এক সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েছেন।