
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আওয়ামী লিগ’ নামে নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। এর প্রতীক চাওয়া হয়েছে ‘নৌকা’ অথবা ‘ইলিশ’। গত ২৪ মার্চ দলটির নিবন্ধন চেয়ে উজ্জ্বল রায় (২৭) নামের এক ব্যক্তির পরিচয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আবেদন করা হয়।
এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে শুরু হয় আলোচনা।
ইসিতে জমা দেওয়া আবেদন ফরমের তথ্য অনুযায়ী, ‘আওয়ামী লিগ’-এর প্রধান দাবি করা উজ্জ্বল রায়ের বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায়। তিনি ওই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা নরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উজ্জ্বল রায় ছাড়াও নরেশ চন্দ্রের আরো এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার বড় ছেলে কনক চন্দ্র চাকরিজীবী এবং মেয়ের নাম প্রতীমা রাণী। উজ্জ্বল পার্শ্ববর্তী উপজেলার ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
‘আওয়ামী লিগ’-এর নিবন্ধন চেয়ে আলোচনায় আসার পর থেকে ‘আত্মগোপনে’ উজ্জ্বল রায়। বাড়িতে বা এলাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, উজ্জ্বল রায় দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসম্যহীন।
নিবন্ধন চেয়ে ইসি সচিবের কাছে করা আবেদনে উজ্জ্বল রায় উল্লেখ করেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়েছে গত ২৪ মার্চ, এই কমিটির মেয়াদ শেষ আগামী ২০ এপ্রিল। দলের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।
ঘটনার পর থেকেই উজ্জল রায় পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কথা হয় তার বাবা নরেশ চন্দ্র ও মা পারুল রানীর সাথে। তাদের অভিযোগ, উজ্জ্বলকে ফাঁসানো হয়েছে।
নরেশ চন্দ্র বলেন, ‘উজ্জলের নাম ব্যবহার করে কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন।’ তবে ঘটনার পর থেকে উজ্জলের আত্মগোপনে থাকার কারণ সম্পর্কে কোনো উত্তর দেননি তিনি।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস ছালাম জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ অবগত নয়।