
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে, কমিশনের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই প্রস্তাব জমা দেন।
জামায়াত তাদের প্রস্তাবনায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হতে পারে।
পাঁচটি মূল সংস্কার প্রস্তাবনায় আলোচনা:
সংবিধান: জামায়াতের মতে, সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল ঈমান ও আস্থার বিষয়টি ফিরিয়ে আনা উচিত। তারা সংবিধানের সাম্য, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের বিষয়গুলিও বহাল রাখতে চায়।
নির্বাচন: জামায়াত সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে। তারা মনে করে যে, এই পদ্ধতি পৃথিবীর ৬০টিরও বেশি গণতান্ত্রিক দেশে চালু রয়েছে এবং এটি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করতে পারে।
বিচার বিভাগ: জামায়াত বিচার বিভাগের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে এবং জানিয়েছে, দেশের বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
জনপ্রশাসন: জামায়াতের দাবি, জনপ্রশাসনে সুশাসন ও নিরপেক্ষতার জন্য বিশেষ সংস্কার প্রয়োজন।
দুর্নীতি দমন কমিশন: দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য জামায়াত সুপারিশ দিয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী হতে পারে।
সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়ার পর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই পাঁচটি বিষয়ে দলের নেতারা, আইন বিশেষজ্ঞ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, যারা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে পারবে না, তাদের নির্বাচন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করা উচিত নয়।
গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আরও গুরুতর নজরদারি প্রস্তাব করছি যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া পুরোপুরি নিরপেক্ষ হয়।”