Image description
 

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "দুনিয়ার অধিকাংশ আইন আল্লাহর আইনকে অনুসরণ করেই প্রণীত হয়েছে। মানবজাতির জন্য স্রষ্টার দেওয়া বিধানই সর্বোত্তম সমাধান।"

তিনি বলেন, "আমরা মনে করি ইংলিশ ল আমাদের মাদার ল। এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রকৃতপক্ষে, ডিভাইন ল-ই আমাদের মাদার ল। মানবজাতির কল্যাণে আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুসরণ করেই অধিকাংশ আইন তৈরি হয়েছে। যেখানে সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে, সেখানে কোরআনের আইনই প্রাধান্য পাবে।"

জেলে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, "আমি জেলকে শাস্তি হিসেবে দেখিনি, বরং এটিকে আমার জন্য একটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। যারা জেল অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন, তারা জানেন কতটা কষ্টকর জীবন কাটাতে হয় সেখানে। আমি দেখেছি, অনেকে বছরের পর বছর বিনা অপরাধে কারাবন্দি রয়েছেন, কিন্তু তাদের জন্য লড়ার কেউ নেই।"

তিনি বলেন, "জীবনে অনেক হাতছানি এসেছে, কিন্তু আমি সেগুলোর দিকে ফিরে তাকাইনি। আমি বিশ্বাস করি, আমার যা পাওয়ার, তা আমার স্রষ্টাই নির্ধারণ করেছেন। ভালো কাজের ভালো ফল আর খারাপ কাজের খারাপ ফল হবেই।"

সমাজ সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের সমাজে প্রচুর অসংগতি রয়েছে। যদি এটি পুনর্গঠন করা যায়, বিশাল পরিবর্তন আসবে। তবে মনে রাখতে হবে, অশুদ্ধ উপায়ে শুদ্ধি আসে না। যেমন, ড্রেনের পানি দিয়ে বারবার হাত-পা ধুলেও তা পবিত্র হবে না। তাই সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে ইসলামের বিধানকেই অনুসরণ করতে হবে।"

রমজান ও ইসলামী বিধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমরা রোজার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এটি এমন এক সময় যখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মাফ করে দেন। আমাদের উচিত, সবাই মিলে দোয়া করা যেন আল্লাহ আমাদের সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমি লয়ার্স কাউন্সিলের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি আমাদের সকলকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে পরিচালিত করুন এবং আমাদের জীবনে বরকত দান করুন।"