Image description
 

মাত্র এক মিনিটের শুনানির মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে চলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আজ সকালে, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে খালাস প্রদান করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলার ফাইল যেই বিচারপতি ধরেছেন, তার জীবনে সোনা ফলেছে। ২০১০ সালে, রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর এই মামলা সময়ে সময়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে, এই মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। যদিও খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন, তবে অবস্থা বুঝে তার আইনজীবীরা আর শুনানি করেননি। 

 

তবে, ৫ আগস্ট পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর মামলার নতুন করে শুনানির উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা এবং হাইকোর্টে খালাস পান তিনি। পরে রাষ্ট্রপক্ষ দুদক এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

সোমবার, এক মিনিটেরও কম সময়ের শুনানির মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালত খালেদা জিয়া সহ সকল আসামির খালাসের রায় বহাল রাখেন। এই রায়ের ফলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারকদের সবাই পুরস্কৃত হয়েছেন। তারা আরও বলেন, "ট্রায়াল কোর্ট এবং হাইকোর্টের যেসব বিচারক এই মামলার ফাইল হাতে নিয়েছিলেন, তাদের ভাগ্য খুলেছে এবং তারা প্রমোশন পেয়েছেন।"

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ মেলেনি, এবং এজন্য সর্বোচ্চ আদালত তাকে খালাস দিয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার সাজা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সামনে আনা হবে বলে জানান তার আইনজীবীরা।