
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সরকার যদি সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমস্ত কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।’
বুধবার নাগরিক ঐক্যের চা-চক্রে এ কথা বলেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়গুলো মীমাংসিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এবং বর্তমান নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামীর সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রদানের জন্য আমরা বারবার কথা বলছিলাম। গত কয়েকদিন আগেও প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমরা কথা বলেছি। তিনি মোটামুটি আশ্বাস দিয়েছেন যে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করার জন্য আমরা সমস্ত আয়োজন করছি।’
‘আইন হলো, জানুয়ারির দুই তারিখ ভোটার তালিকা আপডেট হয়। মার্চের দুই তারিখ সেটা আরও রিফাইন্ড হয়। এরপর আরও কিছু প্রক্রিয়া থাকে যা মে মাসের মধ্যে সমাপ্ত হয়। জুনের মাঝামাঝি সময়ের মাঝে সমস্ত কর্ম সম্পাদন হয়ে যাবে। তাহলে এর পরে, ইমিডিয়েটলি নির্বাচন নয় কেন?’ প্রশ্ন করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সবাই বলছেন, বর্ষাকালে নির্বাচন হয় না। আমাদের দেশে অনেক বন্যা হয়। তবে ১৯৯৬ সালে আমি যখন নির্বাচিত হয়েছি, তখন জুনের ১২ তারিখ ছিল। অনেক বৃষ্টি-গরম ছিল, কষ্ট হয়েছে, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি বৃষ্টির মরসুমে দক্ষিণ এশিয়া ও পৃথিবীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হতে পারে, তাহলে নির্বাচনও হতে পারে। তারপরও সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন হোক, এটা আমাদের সবার কাম্য।’
ডিসেম্বরের মাঝে নির্বাচন দিতে হলে তিন মাস আগে তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলেও মনে উল্লেখ করেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অনেকে বলছেন, নির্বাচন নির্বাচন কেন করছি। নির্বাচন ছাড়া আর কী বলবো, আপনারাই বলে দিন। বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে?’
বিডি-প্রতিদিন