![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/ac28f259af2a061a508539b0b3f0bcc0.png)
বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা ছাত্র জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর পর থেকে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি এবং অফিসের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানা জেলায়, যার মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেটসহ নানা অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
খুলনায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মাধ্যমে এই সহিংসতা শুরু হয়। খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় শেখ বাড়ির একটি অংশ স্কেভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই বাড়িতে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন। গত বছর ৪ আগস্ট প্রথমবারের মতো ছাত্র জনতার দ্বারা এই বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছিল।
এদিকে কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফের বাড়ির একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার বাড়িতেও আগুন ধরানো হয়েছিল ৪ আগস্ট এবং ৫ আগস্ট।
বরিশালে, বুধবার রাত থেকে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সাদিক আব্দুল্লাহর বাবা সাবেক সংসদ সদস্য আবু হাসানাত আব্দুল্লাহ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ছিলেন। রাত ২টার দিকে আমির হোসেন আমুর বাসভবন বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়।
ভোলায়, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনও ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। রাত বারোটার পরে এই ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে।
পিরোজপুরে সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল এবং তার ভাই সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ঘটেছে।
রাজশাহীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। নাটোরে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে আবার আগুন ধরানো হয়েছে।
এছাড়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরসহ নানা জেলায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার মুরাল এবং নাম ফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ক্ষোভের ইঙ্গিত, যা দেশের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।