Image description

বাংলাদেশ থেকে যারা বিভিন্ন পন্থায় বিদেশে টাকা পাচার করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এতদিন শোনা গেছে মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সিঙ্গাপুরের নাম। এ দেশগুলো টাকা পাচারকারীদের সেকেন্ড হোম নামেও বেশ পরিচিত। তবে ইদানীং বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের নতুন গন্তব্য হিসেবে দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম উঠে এসেছে। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৪৫০ নাগরিকের ১ হাজারের মতো প্রপার্টিজ রয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয়, দেশটিতে এখন উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার নামেও বাংলাদেশি ছাত্রদের যাওয়ার হার বেড়েছে। উচ্চ শিক্ষার নামে টাকা পাচারকারীর সন্তানরা দেশটিতে আসলে অবৈধ সম্পদ পাহারা দিতে যাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে-কারা নিয়ে যাচ্ছে টাকা, কাদের টাকা উড়ছে দুবাইয়ে।

সম্প্রতি পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার আসামি আরভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন ও তার অঢেল সম্পদের বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। একজন খুনি কীভাবে অল্প সময়ে এত সম্পদের মালিক হলেন-সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। এ বিষয়েও বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাভ খানের মতো লোকেরা আসলে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারকারী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবৈধ অর্থের পাহারাদার।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর আনু মোহাম্মদ সময়ের আলোকে বলেন, আরাভের মতো যারা সামনে থাকে তারা আসলে সাইনবোর্ড হিসেবে কাজ করে। এসব অর্থ কখনোই আরাভের হতে পারে না। যারা প্রভাবশালী টাকা পাচারকারী আরাভ হচ্ছে তাদের টাকার বা সম্পদের পাহারাদার। এতে আরাভের মতো লোকদের দুটি লাভ-একটি হচ্ছে দেশে যেসব অপরাধ করে তা থেকে সে রক্ষা পায়, আরেকটি হলো-তাদের টাকায় আরাভরা কিছু দিন  বিদেশের মাটিতে আয়েশি জীবন কাটাতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-প্রতি বছর দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, তা হলে সরকার কী করছে, সরকারি সংস্থাগুলো কী করছে। টাকা পাচার রোধ করা যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সেসব প্রতিষ্ঠান কী করছে। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছে বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করে গেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা প্রপার্টির অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বৈশ্বিক অর্থনীতির কোভিডকালীন সংকটের মধ্যেও দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে। স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কোভিডকালে দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই প্রপার্টি কিনেছেন সবচেয়ে বেশি। এদিক থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর বাসিন্দাদের পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশিরা।

দেশের বিত্তবানদের কাছে দীর্ঘদিন দুবাইয়ের আকর্ষণ ছিল নিছক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ আকর্ষণ রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য ও গোপন লগ্নির কেন্দ্র হিসেবে। আকর্ষণীয় মুনাফার খোঁজে রিয়েল এস্টেট ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন তারা। দেশের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই এখন দুবাইকে বেছে নিয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির হিসাব অনুযায়ী, দুবাইয়ে মোট প্রপার্টির বাজার ব্যাপ্তি ৫৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আছে বিদেশি মালিকানায়। তথ্য গোপনের কারণে এর মধ্যে ৭ শতাংশ প্রপার্টি মালিকের জাতীয়তা নিশ্চিত করা যায়নি। সার্বিকভাবে প্রপার্টি খাতের বিদেশি মালিকের হার চিহ্নিত ২৭ শতাংশের চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানাধীন প্রপার্টির মূল্য অন্তত ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। দুবাইয়ের অফশোর প্রপার্টির বাজার ব্যাপ্তির দিক থেকে এখন লন্ডনের অফশোর প্রপার্টির বাজারের দ্বিগুণেরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে হঠাৎ করেই আবুধাবি-দুবাইয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের হার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য নিয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)। 

সংস্থাটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ইউএই। ২০২২ সালে ১১ হাজার ১৫৭ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন আবুধাবি ও দুবাইসহ ইউএইর বিশ্ব^বিদ্যালয়গুলোয়। সে হিসেবে গত বছর বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া মোট শিক্ষার্থীর ২২ শতাংশই গেছেন ইউএইতে। যদিও এর আগে কখনোই বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশিদের গন্তব্য হিসেবে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায়ও ছিল না দেশটি।

ইউএইর উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিপ্রণেতা ও মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান কমিশন ফর একাডেমিক অ্যাক্রেডিটেশন (সিএএ)। সিএএর তথ্য মতে বতর্মানে দেশটিতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭০টি। এর মধ্যে সিংহভাগই আবুধাবি ও দুবাইয়ে। শারজাসহ অন্যান্য শহর বা অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকটি। র‌্যাংকিং বা শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনেক বাংলাদেশিই আবুধাবি-দুবাইয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু ও সম্প্রসারণ করেছেন। গড়ে তুলেছেন প্রপার্টি। তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যই সেখানে বসবাস করছেন। দেশটিতে অনেকে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে গোল্ডেন ভিসা নিয়েছেন। ব্যাংক পরিচালক, পোশাক ব্যবসায়ী, রেল ও সড়কের শীর্ষ পর্যায়ের ঠিকাদার-দেশের বড় ও মাঝারি এমন অনেক পুঁজিপতিই এখন আমিরাতের গোল্ডেন ভিসাধারী।

বিশেষ এ কার্ডধারী বিত্তবানদের সন্তানরা ১০ বছরের রেসিডেন্সিয়াল সুবিধাসহ সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির ক্ষেত্রে এখন বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। পাশাপাশি উন্নত দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই দুবাই-আবুধাবির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। মোটা দাগে এ বিষয়গুলোই এখন দুবাই ও আবুধাবিসহ আরব আমিরাতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে তারা মনে করছেন, ইউরোপ-আমেরিকার দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা করতে পাঠাচ্ছেনই মূলত পাচারের অর্থ বা এই অর্থে গড়ে তোলা সম্পদ পাহারা দেবার জন্য।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ আরো বলেন, ‘টাকা পাচারকারীরা অন্য দেশ থেকে দুবাইকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল বেছে নেবার পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, দুবাই-আবুধাবি সরকার টাকা পাচারকারীদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এই নিশ্চয়তা পেয়েই মালয়েশিয়া বা অন্য সেকেন্ড হোম ছেড়ে বাংলাদেশের টাকা পাচারকারীরা সেখানে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশ থেকে এই যে এতো এতো টাকা পাচারের কথা শুনছি-তাহলে দুদক কি করছে। দুদক কি সব চেয়ে চেয়ে দেখছে। আসলে দুদক নিজের ইচ্ছেমতো চলে না, দুদক চলে সরকারের নিদের্শনা মেনে। শুধু দু’দক নয়, দুদকের মতো যতোগুলো কমিশন রয়েছে তার সবগুলোই এখন অকার্যকর হয় গেছে। আর এসব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হওয়ায় টাকা পাচারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এদিকে আরেক অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে সময়ের আলোকে বলেন, ‘যে হারে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, তাতে দেশ ও দেশের অর্থনীতির ওপর বড় নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি-বিভিন্ন দেশে টাকার পাচারকারি ও অবৈধ সম্পদ তৈরির তালিকায় বাংলাদেশীদের নামের তালিকা বাড়ছে। কর ফাঁকি দিয়ে, ঋণখেলাপি হয়ে, কখনো দুর্নীতি করে, আবার কখনো রফতানির আড়ালে টাকা পাচার করছেন অনেকেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বা দুদক-এ বিষয়ে কি করছে। টাকা পাচার রোধে এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যকর কোনো ভূমিকা চোখে পড়ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণেই অর্থ পাচার বেড়ে যাচ্ছে দেশে। টাকা পাচার রোধ করতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা-আমাদের রাজনীতিবদরা কথা বলার সময় বা বক্তৃতা দেবার সময় টাকা পাচারের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পায় না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়, অনলাইন বেটিং, হুন্ডি ও রফতানির আড়ালে পাচার বেশি: অর্থ পাচার ঠেকাতে বা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। টাকা পাচার রোধে কি করছে সংস্থাটি। 

এ বিষয়ে জনতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক মঙ্গলবার সময়ের আলোকে বলেন, ‘ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন ভিত্তিক অর্থ পাচারের কোনো ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা বিএফআইউ সেটি শক্তভাবে মনিটরিং করতে পারে বা ধরতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে-দেশে বসে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়, অনলাইন বেটিং, হুন্ডি এবং ওভার ইনভয়েসিং-আন্ডার ইনভেয়েসিং-এ রফতানির আড়ালে হয়তো এখন বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে। এইসব চ্যানেলে অর্থ পাচার রোধ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা রাখার খুব বেশি সুযোগ নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় ও অনলাইন বেটিং করে অর্থ পাচার রোধ করার মূল্য ভূমিকা রাখার কথা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লিখিতভাবে বিটিআরসি ও ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বেশি অর্থ পাচারের অভিযোগ আসে রফতানির আড়ালে। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে-রফতানিকারকরা একই পণ্য একেক দামে একেক দেশে রফতানি করছে। দেখা যাচ্ছে একই পণ্য এক দেশে ৫ টাকায় রফতানি করছে তো আরেক দেশে করছে ৫০ টাকায়। এখানে কথা হচ্ছে-এই যে একেক দেশে একেক মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে-এটি দেখবে কে বা মূল্য নির্ধারণ করবে কে। এ বিষয়ে কোনো সংস্থা নেই দেশে। রফতানিকারকরা এই সুযোগটি নিচ্ছেন।

যদিও এ বিষয়ে কাস্টমসের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তো এ ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে না, সে সুযোগ নেই।’ আরেকটি পন্থা হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার। হ্যাঁ-এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে ভূমিকা রাখছেও। সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডি হচ্ছে বেশি। তাই আমরা মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি, সামনে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’