
‘মনের তালা খুলল কে, চাবিওয়ালা, চাবিওয়ালা!’ প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার সেই সুরেলা প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে বেড়াচ্ছি! তবে ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে। এই রাষ্ট্রের জীবনেও একটা বিশেষ তালা আছে, আর তার নাম আর্টিকেল ৭০! এই তালা লাগানো হয়েছিল সেই সব মাননীয়র জন্য, যাদের মধ্যে ‘ছাগলীয়’ প্রবৃত্তি রয়েছে—কাঁঠালপাতার গন্ধ পেলেই একটা অংশ সেদিকে চলে যায়। কাজেই এ তালা থাকলে সংসদ অন্তত খামারে পরিণত হবে না।
অনেক সুন্দরীর জন্য রূপটাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়, তেমনি আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানটিই রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের ভালনারেবল অবস্থায় রেখে দিয়েছে। উঠানে নাগড় দাঁড়িয়ে থাকে বলেই জানালায় এই কপাটটি লাগানো হয়েছে।
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমরা নব্বই দশকের শুরুতেই গণতন্ত্র ফিরে পেলাম। এই নাগড়ের অফিশিয়াল গার্লফ্রেন্ড গণতান্ত্রিক সরকারকে হুমকি দিল, এক দিনও শান্তিতে থাকতে দেবে না! বাস্তবেও তা-ই করেছে। এরা ক্ষমতায় গেলে জাতির বিপদ বাড়ে, বাইরে থাকলে বাড়ে জাতির আপদ।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারকে ফেলতে ভয়ংকর ভয়ংকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল যে ট্রাম কার্ড দেখানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন নওগাঁর এক গাঁজাচাষি, তখন ১০০ সংসদ সদস্যকে ছাগলের মতো কেনার পরিকল্পনা নাকি অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। এখন যখন ৭০ অনুচ্ছেদ বদলানোর চিন্তাভাবনায় জাতির বড় বড় মাথা মশগুল হয়ে পড়েছে, তখন কিন্তু এইসব ছাগল-ক্রেতা কিংবা গাঁজাচাষিদের প্রভাব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
একটি ছাগল কিনতে যে টাকা লাগে, তা দিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি ভোট কিনে ফেলা যায়! আর এই ভোট কিনে যারা সংসদে আসেন, তারাও জিও-পলিটিক্যাল মহাজনদের কাছে বিক্রির আইটেমে পরিণত হন। আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজকে এই ব্যারাম থেকে উদ্ধার করতে পারিনি। প্রকৃতপক্ষে আমরা আসল কাজ কিছু করছি না, নকল কাজ নিয়ে লেফট-রাইট করে বেড়াচ্ছি।
পঞ্চাশ বছর ধরে গণতন্ত্রকে এরা পাটিগণিতের সেই বানরের মতো বানিয়ে ফেলেছে। সেই বানর একটা তৈলাক্ত বাঁশে প্রথম মিনিটে দুই ফুট উপরে ওঠে, পরের মিনিটে দেড় ফুট নিচে নেমে যায়। এরাই বানরের মতো আমাদের গণতন্ত্রকে তৈলাক্ত বাঁশে লটকিয়ে ফেলেছে।
এরা ৫০ বছর ধরে গণতন্ত্রের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢেলেছে! এরাই সাপ হয়ে দংশন করে, আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ে। যারা এক-এগারোর জন্ম দিয়েছে, তারাই এখনো সবকিছুতে কলকাঠি নাড়ছে!
এখন প্রশ্ন হলো—সংবিধানের পাতার ধারা পরিবর্তন করলেই কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে? আমরা কি নিজের ভেতরের ৭০ অনুচ্ছেদটি সংশোধন করতে পেরেছি?
আমাদের রাজনীতি, সমাজ ও সংগঠনের ভেতরেও যেন এক অদৃশ্য ৭০ অনুচ্ছেদ কাজ করছে। কেউ যদি নিজের দলের সামান্য সমালোচনা করে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে ‘দলবিরোধী’ বা ‘শত্রু শিবিরের লোক’ বলে দাগিয়ে দিই। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেন অপরাধ, আর ভিন্নমত প্রকাশ মানেই বিশ্বাসঘাতকতা।
এই মানসিক ৭০ অনুচ্ছেদই আমাদের সমাজে সবচেয়ে গভীর শৃঙ্খল। এর কারণেই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে আত্মসমালোচনা হারিয়ে গেছে। নেতা ভুল করলেও কেউ কিছু বলে না; কারণ সবাই জানে, একবার কথা বললেই নেতৃত্বের আশীর্বাদ তার ওপর থেকে সরে যাবে!
সংবিধান সংশোধন কঠিন নয়, কিন্তু মানসিক সংস্কারই সবচেয়ে কঠিন কাজ। যেদিন আমরা ভিন্নমতকে সহ্য করতে শিখব, সেদিনই গণতন্ত্র সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সহনশীলতার সংস্কৃতি।
রাজনীতিকে ঠিক জায়গায় স্থাপন করতে গঠনমূলক সমালোচনার পরিবেশ দরকার। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো অপরের সমালোচনাকে এনজয় করলেও নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে একদম সহ্য করতে পারে না। অধিকাংশ পলিটিশিয়ান, ডান-বাম-উত্তর-দক্ষিণ যে বলয়েরই হোন না কেন, মেন্টাল স্ট্রাকচার একদম গল্পের সেই মায়ের মতোই!
ওই মায়ের ছেলে উচিত কথা বলার জন্য কয়েক গ্রামের মধ্যে সুনাম অর্জন করে ফেলেছে। একদিন মা তার ছেলেকে ডেকে বলেন, “বাবারে! তুই ‘উচিত কথা’ বলে সারা এলাকায় সুনাম অর্জন করে ফেলেছিস! কিন্তু তোর নিজের মাকে এখনো কোনো ‘উচিত কথা’ শোনালি না!” ছেলে বলে, “মা তুমি এগুলো সহ্য করতে পারবে না।” তারপরেও মা মন খারাপ করে বলেন, “আগে শোনা না, বাবা।” তখন ছেলে বলে, “মা! আবার বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। তুমি তার পর থেকেই জলিল চাচা বাড়ি এলেই কেমন যেন খুশি হয়ে পড়!”
এ কথা শুনেই মা হাতের ঝাড়ু নিয়ে ছেলের পানে তেড়ে যান এবং চিৎকার দিয়ে বলেন, “গোলামের পুত গোলাম! দেখাচ্ছি তোর উচিত কথা!” কপাল চাপড়িয়ে বলেন, “এখন বুঝলাম, দুধ-কলা খাইয়ে কী সাপটাই না পুষেছি!”
এসব গল্পের কথা এবং পরিণাম জেনেও সত্য কথা লিখতে চেষ্টা করি। এখন খেতাব পেয়েছি ‘গুপ্ত জামায়াত’। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘গুপ্ত বিএনপি’ খেতাব পেতে আর বেশিদিন লাগবে না! বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে দেখছি, অতীতকে জাতির কান্ডারিরা কত সহজেই না ভুলে যাচ্ছেন! তাই এসব কথা জাতিকে বারবার স্মরণ করানোর তাগিদ অনুভব করছি!
আপনারা জানেন সিপিডি, টিআইবি গং জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি শক্তির কী ক্ষতিটাই না করেছে! জামায়াতের টপ নেতাদের লাইন ধরে ফাঁসি এবং দল হিসেবে বিএনপিকে তছনছ করার জন্যেই এক-এগারো সৃষ্টি করা হয়েছিল! মতি-মাহফুজ তো কলার উঁচিয়ে গর্ব করে বলেছেন, এক-এগারো আমাদের ব্রেইন চাইল্ড! আর এগারোর আগুন সৃষ্টির জন্যে বারুদ হিসেবে কাজ করেছিল টিআইবির ঘোষিত ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার তকমাটি!
টিআইবি মূলত লীগ আমলের (১৯৯৬-২০০১) আমলনামা চারদলীয় জোট সরকারের (২০০১-২০০৬) কাঁধে চাপিয়েছিল। টিআইবি সেই সময় বাংলাদেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে! টিআইবির এসব বুদ্ধিবৃত্তিক ইতরামো নিয়ে আমরা এক-এগারোর আগে থেকেই তথ্য-উপাত্তসহ বলে আসছি!
কারণ এক-এগারো নামক ভেল্কির করুণ শিকার দুটি দলই হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের দুর্নীতির ভলিউম থেকে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের দুর্নীতির ভলিউম এক হাজার গুণ বাড়লেও টিআইবি আর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানায়নি। আজ যখন টিআইবির এই বুদ্ধিবৃত্তিক ইতরামির বিরুদ্ধে সবার সম্মিলিতভাবে দাঁড়ানোর কথা, তখন জামায়াতে ইসলামী সেই ভাঙা টুলটি ব্যবহার করছে খোদ বিএনপির বিরুদ্ধে!
ট্রাবলিং ট্রুথটি হলো, জামায়াতের টপ ক্যাটাগরি তথা ভোকাল নেতাদের কেউ কেউ এই প্রচারণায় শামিল হয়েছেন। এই প্রবণতা কাঙ্ক্ষিত সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে কতটুকু সহায়ক হবে, তা ভাবার জন্যে সবাইকে অনুরোধ করছি!
বিএনপির কম বোঝা নিয়ে আগে থেকেই মাথা চাপড়িয়ে এসেছি, এখন জামায়াতের বেশি বোঝার কারণে কী চাপড়াব, তা খুঁজে পাচ্ছি না! জামায়াতসহ সমননা দলগুলো পিআর দিয়ে আসলেই কী অর্জন করতে চাচ্ছে, তা মাথায় ঢুকছে না! সার্বিক জনসচেতনতা এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে জায়গায় আমরা রয়েছি, সেখান থেকে এই পিআরকে আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে পারব, তাও গবেষণার বিষয়! বেশি টাকার কাবিন যেমন বিয়ে টিকে থাকার নিশ্চয়তা দেয় না, তেমনি এই পিআর টেকসই গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হবে না! তাছাড়া ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখন দাগহীন গণতন্ত্রের চেয়ে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করা আগে দরকার।
সেজন্য সব দল মিলে আগামী কয়েকটি টার্মে জাতীয় সরকার গঠন করা সময়ের দাবি। সেই জাতীয় সরকারে বিএনপি ও জামায়াত উভয়কেই থাকতে হবে! আপাতত আগামী দুই বা তিন টার্মে কোনো বিরোধী দল রাখার দরকার নেই। এ রকম একটা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব অনেক আগেই বিএনপি চেয়ারম্যান দিয়ে রেখেছেন, যদিও তার কাঠামোটি কী হবে তা স্পষ্ট নয়।
দু-একটি সঙ্গী দলকে নিয়ে এরকম জাতীয় সরকারের ঘোষণা আগেও দেখা গেছে। সেসব ছিল এক ধরনের আই-ওয়াশ বা রাজনৈতিক স্টান্টবাজি! বর্তমান প্রেক্ষাপটে এরকম ছেলেভোলানো জাতীয় সরকার নয়, প্রকৃত অর্থেই একটা জাতীয় সরকার দরকার।
গত কয়েক দিনে যেভাবে দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরাগুলোয় আগুন লেগে গেছে, তা দেখে এ ধরনের জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি করে অনুভূত হচ্ছে। সেজন্য বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গলাগলির প্রয়োজন নেই। বর্তমানে সম্পর্ক যে মানে পৌঁছে গেছে, তার পরেও জাতীয় সরকার গঠনে কোনো সমস্যা হবে না!
কারণ ভূ-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে যে বৈরিতা আসবে, তা একক কোনো দলের পক্ষে সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে! এখানে ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইলের গণতন্ত্রের চর্চা, যেখানে একটি সরকারি দল এবং একটি বিরোধীদল রাখতেই হবে—স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়তে পারে! কারণ আমাদের এখানে যে-ই বিরোধী দলে থাকুক না কেন, সে-ই হবে জাতির শত্রুদের জন্যে চমৎকার খেলার কার্ড। ইতোমধ্যে আমরা তার নমুনা দেখতে পাচ্ছি!
তাই সম্পূর্ণ স্বাধীন ও উন্মুক্ত নির্বাচন করে প্রাপ্ত সিটের অনুপাতে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার! সরকারের ভেতরেই তখন একদল অন্যদলের জন্য চেক অ্যান্ড ব্যালান্স হিসেবে কাজ করবে!
কাজেই পিআর আর বে-পিআর নিয়ে বিতর্কে সময় নষ্ট না করে কীভাবে তিনটি টার্ম একটা জাতীয় সরকার গঠিত হতে পারে, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করুন। এভাবে পরপর তিনটি জাতীয় সরকারের পর পিআর নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
মতিউর রহমান রেন্টু তার ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটিতে জানিয়েছিলেন—রাজনীতিতে যেদিন লাশ পড়ত, সেদিন শেখ হাসিনার ভাত খাওয়া বেড়ে যেত! এখন বাড়ে যেদিন বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে কোথাও সংঘর্ষ লাগে, সেই সংবাদ শোনার পর! কারণ তিনি জানেন, এই রাস্তা ধরেই তার বা তার দলের ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে! কাজেই সাধু সাবধান!
শরবতের মতো ভালোবাসা বনাম নুনের মতো ভালোবাসা
ছোটবেলায় ‘নুনের মতো ভালোবাসা’ শিরোনামে একটা গল্প পড়েছিলাম। আজ তারই প্রভাব মিডিয়া জগতের সর্বত্র দেখতে পাচ্ছি।
ফ্যাসিবাদের জমানায় মিডিয়াগুলো দেখে মনে হতো দস্যুরানির একেক রাজকন্যা! কিন্তু দস্যুরানির পতনের পর তাদের মধ্যে কৌতূহলোদ্দীপক পরিবর্তন সংঘটিত হয়। গত ১৬-১৭ বছর যাদের টিকিটিও দেখা যায়নি, বিপ্লবের পর গনিমতের মাল কুড়ানোতে এরাই অগ্রগামী হয়ে পড়ে। মাফিয়া রানির মিডিয়া রাজকন্যাদেরও ভাগবাঁটোয়ারা এদের হাতেই সুসম্পন্ন হয়। ফরমুলামতো বিপ্লবোত্তর সময়ে এদের হওয়ার কথা ছিল দাসী, কিন্তু হয়ে পড়েছে নতুন রাজার আহ্লাদী রাজকন্যা! বিষয়টা খুবই ইন্টারেস্টিং ঠেকছে!
রাজকন্যাদেরও একেকটা গালভরা নাম রয়েছে—প্রিন্সেস প্রথম আলো, প্রিন্সেস ডেইলি স্টার (আদর করে কেউ কেউ দিল্লি স্টারও ডাকেন), প্রিন্সেস সমকাল, প্রিন্সেস কালের কণ্ঠ, প্রিন্সেস জনকণ্ঠ, প্রিন্সেস কালবেলা! এরা কেউ নতুন রাজাকে ভালোবাসে চিনির মতো, কেউ শরবতের মতো, কেউ মধুর মতো, কেউ পেস্ট্রি-কেকের মতো। মধুর মধুর এই ভালোবাসার কথা শুনে নতুন রাজার পুরো পরিষদ উচ্ছ্বসিত, পুলকিত!
এরা সব পাতানো কন্যা। হয়তোবা সুযোগের অপেক্ষায় চিনির মতো ভালোবাসার অভিনয় করে যাচ্ছে! নানা টেকনিকে আসল কন্যাদের দূরে সরিয়ে রাখছে।
এদিকে অভিমানের চোটে নিজের অরিজিনাল কন্যাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে। কারণ সেই রাজকন্যা বলেছিল, সে রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে! দুদিন আগে আবার রাজার এক আরদালি সেই রাজকন্যাকে প্রহারও করেছে!
আসল কন্যাদের মনের খবরটিও নেওয়া দরকার! জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি শক্তির মধ্যে প্রতিযোগিতা এই ঘরানার মিডিয়াকন্যাদেরও বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে! এ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের উপায় নির্মোহভাবে সত্য কথাটি বলে যাওয়া। কাউকে বেশি ফেভার করলে তা আরো জটিল আকার ধারণ করবে! দেশ ও জাতির স্বার্থেই নুনের মতো এই ভালোবাসাটি অব্যাহত রাখতে হবে। তবে মাঝে মাঝে নিজেরাই একটু পরখ করে দেখতে হবে, যাতে নুনের পরিমাণ মাত্রাধিক হয়ে না পড়ে।
লেখক : কলামিস্ট