
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিলো যা পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। অভ্যুত্থানের ব্যাপ্তি ছিল ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। জুলাই অভ্যুত্থানে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা জগদ্দল পাথর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনটি জুলাই মাসে হওয়ায় কেউ কেউ এটিকে ‘জুলাই বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করেন। বাংলা শ্রাবণ মাসে হওয়ায় একে শ্রাবণ বিদ্রোহও বলা হয়। পৃথিবীতে আরও দুটি দেশে জুলাই বিপ্লব হয়েছে। একটি হলো ফ্রান্সে (১৮৩০ সাল) অন্যটি ইকুয়েডরে (১৯২৫ সাল)।
গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পিছনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ কারণ হিসেবে দায়ী করলেও এর পরোক্ষ কারণ ছিলো বহুবিধ। বলতে গেলে এই পরোক্ষ কারণ গুলো গণ আন্দোলনটিকে বেগবান করার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছিলো। তাই সেগুলো সবার, বিশেষ করে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জানা খুবই জরুরি। ১৯৪৯ সালে জন্ম হওয়া আওয়ামী লীগ নামক দলটি বিভিন্ন সময় দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে চরম স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগসহ সকল দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল গঠন করেন এবং দেশকে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যান। অন্যদিকে তার কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও সেটির ব্যতিক্রম ছিলেন না। ২০০৯ সালের সাজানো নির্বাচন, ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতার নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতে ভোট সম্পন্ন এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন আয়োজন করে তিনি ক্ষমতায় আসেন। এর ফলে দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার কখনোই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা আসেননি। ফলে সরকারের প্রতি জনসমর্থন তথা গণতন্ত্র চর্চা না থাকায় আমলা শ্রেণির বড় একটা অংশ সেই সুযোগ লুফে নেয় এবং ফলশ্রুতিতে তারাও স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেন। অন্যদিকে, লীগ সরকারও প্রশাসনকে খুশি রাখতে তাদের অন্যায়কে ব্যাপক প্রশয় প্রদান করে। সরকারি কর্মচারী গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে-এমন আইনও করা হয়। এতে সরকারের বহু আমলা ও কর্মচারী দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এদের অনেকে আবার উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় অবৈধ অর্থ দিয়ে বাড়ি করেন। পরবর্তীতে সেই এলাকাটি ‘বেগমপাড়া’ নামে পরিচিতি পায়। এ জাতীয় আমলা শ্রেণির দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হওয়ায় দেশের জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
হাসিনা সরকার রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বিচার বিভাগকে কখনোই সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেয়নি। মাসদার হোসেনের মামলার রায়ে (১৯৯৯ সালে) বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ থাকলেও স্বৈরাচার সরকার সেটি বাস্তবায়ন করেনি। উপরন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। লীগ সরকার উচ্চ আদালতে দলীয় বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে ফেলে। এমনকি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী করে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আনা হয় যা ছিলো পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমও স্বৈরাচার সরকারের থাবা থেকে রেহাই পায়নি। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব বাকশাল গঠনের পর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করেছিলেন। তার কন্যা হাসিনা সে পথেই হাঁটেন। তিনি আইন করে রীতিমতো সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো ২০১৩ সালের সংশোধিত আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬, ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ২০২৩ সালে প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইন।
সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সক্ষম হওয়ায় ফ্যাসিস্ট সরকারের অপকর্ম করা আরও সহজ হয়। এই সরকারের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি হয়, বিশেষ করে মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি হয়।নিজ দলীয় লোকজনকে টেন্ডার দেয়া ও প্রকল্পের বাজেট ঘনঘন বৃদ্ধি করে দুর্নীতির মহা উৎসব চলে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কর্ণফুলী টানেলে- এর মতো ব্যয়বহুল প্রকল্প সমূহে বহু অর্থ তছরুপ করা হয়। দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে পাচার হয় ২৪০ বিলিয়ন ডলার। আবার ২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৪টি বড় ধরনের অনিয়মের কারণে ব্যাংক থেকে লুট হয় প্রায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। স্বৈরাচার সরকারের অপশাসনের সময় বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল ছিলো বিএনপি। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিজ হাতে গড়া জনপ্রিয় এই দলটিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বেছে নেয় গুম-খুনের পথ। লীগ সরকারের নিপীড়নে দলটির শত শত নেতাকর্মী প্রাণ হারায়।
আওয়ামী জাহেলিয়াতে কেবল বিরোধী দল নয় সংখ্যালঘুরাও নিরাপদ ছিলো না। সাপ হয়ে কাটে ওঝা হয়ে ঝাড়ে- এই প্রবাদটি যেন ফ্যাসিস্ট দলটির চরিত্রের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। তারা নিজেরাই সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করতো কিন্তু কৌশলে অপকর্মের দায় দিয়ে দিতো বিরোধী দলের উপর। ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা এই বলে ছড়াতো যে, আওয়ামী লীগ সরকারে না থাকলে, এদেশে নাকি কোনো সংখ্যালঘুরই অস্তিত্ব থাকবে না। লীগ আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মীদের (বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন) দ্বারা সংঘটিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনা। স্বেচ্ছাচারী এই সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ২ হাজার মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতি ও হত্যার রাজনীতির ফিরিস্তি উল্লেখ করলাম। কিন্তু একটি বিষয় তুলে না ধরলে আমার মনে হয় আলোচনাটি অপূর্ণ থেকে যাবে, সেটা হলো সীমান্ত হত্যা ইস্যু। মূলত বাংলাদেশ সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ বিএসএফ কর্তৃক হত্যার শিকার হওয়ার পিছনে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতিই দায়ী ছিলো। তার ১৫ বছরের শাসনামলে ৬ শতাধিক মানুষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী দ্বারা নিহত হন। এর মধ্যে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কিশোরী ফেলানীকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি বেশ উল্লেখযোগ্য। সেসময় এই ঘটনা সারা বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যাহোক, উপরে উল্লিখিত এসব ঘটনা সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী সরকারের উপর দিন দিন জনরোষ বাড়তে থাকে। মানুষ প্রতীক্ষার প্রহর গুণছিলো, কবে এই দানব সরকারের হাত থেকে তাদের মুক্তি মিলবে।
এমন প্রেক্ষাপটে ৫ জুন ২০২৪ সাল থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লীগ সরকার দমন-পীড়ন চালায়। ইতোমধ্যে যৌক্তিক আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র হত্যা হলে দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শুরু হয় ছাত্র-জনতার লড়াই। এই লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিশেষ করে সাদা দলের শিক্ষকেরা প্রথম থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছিলো। সরকারের পেটুয়া বাহিনী যখন শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড মারধর করেছিলো, বিশেষ করে মেয়েদের যেভাবে অত্যাচার করেছিলো, তা দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে সহ্য করতে পারিনি। তখন আমি আন্দোলনের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ি। আন্দোলনকারীদের উৎসাহ দেয়া, পানি বিতরণ করা ও আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা- প্রভৃতি কাজে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। একটা স্মৃতিচারণ না করলেই নয়। একবার আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কজন শিক্ষক কারফিউ ভঙ্গ করার জন্য অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় স্বৈরাচার সরকারের পুলিশ, বিজিবি ও আর্মির কড়া সতর্কাবস্থান ছিলো। বলতে গেলে কারফিউের কারণে একদম সুনসান নীরবতায় ক্যাম্পাস ভুতুড়ে পরিবেশে রূপ নেয়। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করা। আমি একদিক থেকে আসলাম, ছিদ্দিক ভাই (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং সিনেট সদস্য), লুৎফর ভাই (বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য), ওবায়েদ ভাই (বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য) বিভিন্ন দিকে আসলেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন সাদা দলের শিক্ষক যোগ দিয়ে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমরাই প্রথম একদল শিক্ষক ছিলাম যারা অপরাজেয় বাংলা থেকে কারফিউ ভেঙে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ছাত্ররা আমাদের দেখে স্বাগত জানায় এবং তারা দ্বিগুণ উৎসাহে আন্দোলন আরও জোরদার করে। আমাদের উপর যেকোনো মূহুর্তে হামলা হতে পারতো তারপরও আমরা ভয় পাইনি। বলতে দ্বিধা নেই, সেসময় তারুণ্যের জোয়ার আমাদের সাহস জুগিয়েছে। এই সাহসই ফ্যাসিবাদের গদিকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলো। প্রসঙ্গক্রমে ঐ সময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসী সাংবাদিক ও এক্টিভিস্টদের ভূমিকা না বললেই নয়।
ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে গেলে বিদেশে অবস্থানরত এই দেশপ্রেমিকদের তৎপরতা অভ্যুত্থানে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলো। বলার অপেক্ষা রাখে না সেসময় প্রবাসী সাংবাদিকদের প্লাটফর্ম গুলো জনগণের মুখপাত্রে পরিণত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি দেশীয় মিডিয়ার বড় একটা অংশ তখন সরকারের তাবেদারে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। স্বৈরাচার হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের যাত্রা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পার হলো। এই সময়ে এসে আমি অনেকটাই মর্মাহত বা আশাহত। এখনও বড় বড় স্বৈরাচারের দোসর রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। জনসমর্থনহীন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যারা সহায়তা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা বা বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া-বলা যায় কচ্ছপ গতিতে চলছে। শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুটকারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিপরীতে সামান্য ঋণখেলাপী দরিদ্র কৃষককে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবলকে প্রশ্রয় এবং দুর্বলের উপর অত্যাচার কাম্য নয়। আইনকে সবার জন্য সমান করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ না হলে, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ হবে। এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম চেতনা। তবে আমরা জুলাইয়ের চেতনা কতটুকু ধারণ করতে পেরেছি সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসায় অবহেলা আমাদের ভীষণ হতাশ করেছে। অথচ নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য শত শত মানুষ জীবন দিলো, অনেকেই আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। দুভার্গ্যের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে পূর্বে সংঘটিত হওয়া কোনো গণঅভ্যুত্থানেরই ফসল আমরা পুরোপুরি ঘরে তুলতে পারিনি। যার ফলে আমাদের বার বার স্বৈরাচার শাসক গোষ্ঠীর সম্মুখীন হতে হয়েছে। সুতরাং এবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মত্যাগ কোনোভাবেই বৃথা হতে দেয়া যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন নির্বাচিত সরকারকে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
লেখক: উপাচার্য, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।