Image description
অলিউল্লাহ নোমান

দেরিতে হলেও এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকগুলো কাজের মধ্যে খায়রুল হকের গ্রেপ্তার প্রশংসিত হতে দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথমে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন অনেকে। ইতোমধ্যে আপিল বিভাগের রায় টেম্পারিংয়ের অভিযোগও আমলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত। দেশের একজন প্রধান বিচারপতি এভাবে রিমান্ডের মুখোমুখি হওয়া কাম্য নয়। এই পরিণতির জন্য দায়ী খায়রুল হকরাই।

খায়রুল হকের একটি বাণী এখনো আমার কানে ভাসে। আদালত অবমাননার অভিযোগে আমার দেশ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মাহমুদুর রহমান ও আমাকে শাস্তি দিয়ে রায় ঘোষণার আগে শুনানি চলছিল। শুনানির একপর্যায়ে খায়রুল হক একটি বাণী উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি ‘ইয়া হাদিও, ইয়া হাদিও’ বলতে বলতে এজলাসে উঠে বিচারকের আসনে বসেন। এর মাধ্যমে তিনি এজলাসে বসার সময় ন্যায়বিচারের জন্য আল্লাহর কাছে হেদায়েত কামনা করেন। ‘ইয়া হাদিও, ইয়া হাদিও’ বলতে বলতে তিনি এজলাসে উঠেই মুন সিনেমা হলের মামলায় পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছিলেন! তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ঘোষিত রায় পরিবর্তনের সময়ও ‘ইয়া হাদিও’ বলেছিলেন কি না, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এই রায়ের ভিত্তিতেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে ভোটের অধিকার কেড়ে নেন শেখ হাসিনা। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের মূল শক্তি ছিল এই রায়।

বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের নাটের গুরু খায়রুল হকের অপরাধের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। পাঠকদের উদ্দেশে তার কয়েকটি অপরাধের বিষয় এখানে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।

এক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়ার বিষয়টি সবারই জানা। এটি ছিল শেখ হাসিনার অভিপ্রায়। এই অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল খায়রুল হকের চূড়ান্ত সহযোগিতা নিয়ে। আপিল বিভাগে সেদিন রীতিমতো গুন্ডামি দেখিয়েছিলেন খায়রুল হক ও তার সহযোগী মোজাম্মেল হোসেন এবং সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। হাইকোর্ট বিভাগে নাজমুন আরা সুলতানা এবং হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারের ইচ্ছা পূরণ করে রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন চাইলে সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলন করাতে পারতেন, শেখ হাসিনার আইনজীবীদের মতো এজলাসে স্লোগান দিয়ে মামলাটির শুনানিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারতেন। সে পথে না গিয়ে বিচারকদের ওপরেই আস্থা রেখেছিলেন তিনি। অথচ এই বিচারকরা নিজ আসনের অপব্যবহার করেছিলেন। তাদের আচরণ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হচ্ছিল, সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতেই এই আসনে তারা বসেছেন। বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি আস্থা রেখে আপিল বিভাগে গিয়েছিলেন। লিভ টু আপিল শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়। তখন খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি। তার সঙ্গে মোজাম্মেল হোসেন ও সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এই তিনজনই ছিলেন তখন আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে। ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই শুনানির আগে বেগম জিয়া তাদের প্রতি অনাস্থার পিটিশন দাখিল করেছিলেন।

শুনানির নির্ধারিত তারিখে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক দাঁড়ালেন; বললেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একটি আবেদন উত্থাপন করবেন। এটি অ্যাফিডেভিট করা হয়েছে আগের দিনই। আগে আবেদনটি উত্থাপন হোক। তারপর এ মামলার শুনানি হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অনাস্থার আবেদনটি নিয়ে দাঁড়ালেন। খায়রুল, মোজাম্মেল ও সিনহা কোনো অবস্থায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আবেদন শুনতে চাচ্ছিলেন না। রফিক-উল হক বারবার বলছিলেন, আগে শুনুন মওদুদ আহমদ কী বলতে চাচ্ছেন। তারা তখন এক রকম মাস্তানি আচরণ করেন। রফিক-উল হককে তারা বলতে থাকেন—‘আপনি শুনানি শুরু করুন।’ এ অবস্থায় পেছনের সারি থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আবেদন উত্থাপনের সুযোগ দিতে কিছু আইনজীবীও উচ্চ স্বরে কথা বলার চেষ্টা করেন। এতে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন এজলাসে বসা তিনজনই। তারা উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘আমরা এখন রায় দেব।’ শুনানি ছাড়াই বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল খারিজ ঘোষণা করে দ্রুত এজলাস ত্যাগ করেন তিনজন। এই রায়ের পরের দিনই সরকার বেগম জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এটি ছিল তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট, শেখ হাসিনা ও খায়রুল হকদের বোঝাপড়ার মাধ্যমে সংঘটিত একটি রায়।

দুই

পুরান ঢাকার ঢাকার মুন সিনেমা হলটি পরিত্যক্ত হিসেবে সরকার জাতীয়করণ করেছিল গত শতকের সত্তরের দশকে। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ সালে এক ব্যক্তি মুন সিনেমা হলের মালিকানা দাবি করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করতে আসেন। তখন খায়রুল হক হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক। তার সঙ্গে বেঞ্চে এটিএম ফজলে কবীর। জুডিশিয়াল সার্ভিস থেকে তাকে হাইকোর্টের বিচারক বানিয়েছিল চারদলীয় জোট সরকার। এই বেঞ্চে মামলাটি উত্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি। খায়রুল হক অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু পরামর্শ দিয়ে মামলাটি ফিরিয়ে দেন। পরামর্শে বলা হয়, সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সিনেমা হলটি জাতীয়করণ করা হয়েছিল। সুতরাং সামরিক ফরমানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার পরামর্শ দেন খায়রুল হক। তার পরামর্শ অনুযায়ী, সামরিক ফরমানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুন সিনেমা হলের দাবির মামলার আবেদন সংশোধন করা হলো। সংশোধিত আবেদন নিয়ে আবারও খায়রুল হকের বেঞ্চে এলেন পিটিশনার। একে কেন্দ্র করেই খায়রুল হক ও ফজলে কবীর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে বাতিল এবং জিয়াউর রহমানের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলেন। মুন সিনেমা হলের মালিকানার বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, সেটা অনিশ্চিত। তবে পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে দেশের সংবিধানকে ‘শেখ হাসিনাকরণ’ করা হয়েছে ২০১১ সালে।

তিন

স্বাধীনতার ঘোষক প্রশ্নে রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন খায়রুল হক। বিচারকের আসনকে অ্যাবিউস করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাটি মুছে ফেলতে অপতৎপর হয়েছিলেন। তিনি তার খয়ের খাঁদের দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রশ্নে একটি রিট আবেদন দায়ের করান পরিকল্পিতভাবে। সে রিটের সূত্র ধরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা বেআইনি ঘোষণা করলেন। এই রায়ের সমালোচনা করায় প্রবীণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মরহুম এমাজউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেছিলেন। তলব করেছিলেন তার বেঞ্চে। অর্থাৎ বিচারকের আসনটিকে যত রকমের অ্যাবিউস করা যায়, তা তিনি করলেন।

চার

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সারা দুনিয়ায় একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। একটি রক্তক্ষয়ী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন হয়েছিল। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে এমন কোনো ধ্বংসাত্মক কর্ম নেই, যা তখন করা হয়নি। অথচ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হন। খায়রুল হক তখন এগিয়ে আসেন। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যাওয়ার আগে এই ব্যবস্থা বাতিলের উদ্যোগ নেন নিজে উদ্যোগী হয়ে। ২০০৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গণতন্ত্রের অলংকার হিসেবে ঘোষণা করেছিল, এটিকে বৈধ বলে রায় দিয়েছিল। এ রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি লিভ টু আপিল ডিপ ফ্রিজে ছিল। এটি খুঁজে বের করেন খায়রুল হক। অবসরে যাওয়ার আগে এটি শুনানির উদ্যোগ নেন। তখন আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা সাতজন। সাতজনের বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। তিনজন হাইকোর্ট বিভাগের রায়কে সমর্থন করেন। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানসম্মত বলেই রায় দেন। শেখ হাসিনার অনুগত খায়রুল হক, মোজাম্মেল হোসেন, এসকে সিনহা ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানসম্মত নয় বলে ঘোষণা করেন। ওপেন কোর্টে ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছিল, বিভক্ত রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরবর্তী দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। এই রায় ঘোষণার দুদিন পর তিনি অবসরে যান। অবসরে গিয়ে ১৪ মাস পর মনের মাধুরী মিশিয়ে রায় লেখেন। ওপেন কোর্টে ঘোষিত পরবর্তী দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ‘নির্বাচন হতে বাধা নেই’ কথাটি লিখিত রায়ে বাদ দেওয়া হয়। এ রকম রায় পরিবর্তনকে তখনই সিনিয়র আইনজীবীরা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বলে অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। খায়রুল হকের সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের সহযোগী ছিলেন মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

পাঁচ

চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খুনের মামলার প্রধান আসামিকে বিচারকের পদে শপথ পড়িয়েছিলেন খায়রুল হক। খুনের মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি রুহুল কুদ্দুস বাবু এবং সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর সন্ত্রাসে নেতৃত্বদানকারী খসরুজ্জামানকে ২০১০ সালের এপ্রিলে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন শেখ হাসিনা। আমার দেশ পত্রিকায় এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপরই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম তাদের শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনার ছয় মাস পর তিনি অবসরে গেলে দুজনকে ডিঙিয়ে খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি বানান শেখ হাসিনা। প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েই প্রথম যে কর্মটি করেন সেটা হচ্ছে, চিহ্নিত খুনি ও সন্ত্রাসী দুই ব্যক্তিকে বিচারক হিসেবে শপথ দিলেন। নিয়োগের পর থেকে তারাও ঘাপটি মেরেছিলেন। কবে ফজলুল করিম অবসরে যাবেন, সে অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছিল খায়রুল হকের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর।

ছয়

শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া হয় খায়রুল হক, মোজাম্মেল হোসেন ও সুরেন্দ্র কুমারের এক রায়ের মাধ্যমে। তখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করা হচ্ছিল। হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকজন ন্যায়পরায়ণ বিচারক তখনো ছিলেন। তারা শেখ হাসিনার টার্গেট নেতাকর্মীদের আইনের আশ্রয়ে আগাম জামিন দিতেন। এটা বন্ধ করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করতে এক রায়ে আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেন খায়রুল হক, মোজাম্মেল হোসেন ও সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তারা তিনজন তখন আপিল বিভাগে ছিলেন। তিনজনের আপিল বেঞ্চ একটি আগাম জামিনের বিষয়ে সরকারের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছিলেন।

বিচারকের আসনের অ্যাবিউস করার এ রকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। খায়রুল হক গ্রেপ্তার হলেও তার অন্যতম সহযোগী মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

৫ আগস্টের পরপরই খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মোজাহেদুল ইসলাম শাহিন নামে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী রায় পরিবর্তনের অভিযোগে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছিলেন। মামলাটি গত বছরের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখে শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের আসনে বসে প্রকাশ্য আদালতে রায় পরিবর্তনের অপরাধের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বিচারকের আসনকে অ্যাবিউস করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে শুধু খায়রুল হক নন—মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকেও অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, আমার দেশ