
এম আবদুল্লাহ
দুদিন আগে একটি সংবাদপত্রের তিন কলামে শিরোনাম ছিল ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন নিয়েও এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আবার সামনে আমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ নিয়েও খবর হয়। বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রেই এই ‘বাম্পার’ দেখে কখনো খুশি হই, আবার কখনোবা বেজার।
দীর্ঘ দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের কবল থেকে রক্তভেজা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তির পর রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে ২৬টি নতুন রাজনৈতিক দল ভূমিষ্ঠ হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যেমন মুখরোচক খবর দেখা যাচ্ছে, তেমনি ভার্চুয়াল জগতে চলছে নানা হাস্যরস ও ট্রল।
সদ্যোজাত রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো কোনোটির নামও বেশ বাহারি। বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টালের বাম্পার ফলনে যেমন জনপ্রিয় সংবাদপত্রের নামের আগে-পিছে শব্দ যুক্ত করা হচ্ছে, তেমনি নতুন রাজনৈতিক দলের নামকরণেও একই প্রবণতা লক্ষণীয়। খাবার যত বিস্বাদই হোক না কেন, রেস্টুরেন্টের নাম যেমন ‘সুরুচি রেস্টুরেন্ট’ নামকরণ করা হয়, তেমনি নামে ‘জনপ্রিয়’ শব্দ যুক্ত করলে ওই রাজনৈতিক দলের জনভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা দেখানোর সাধ্য কার! নিউক্লিয়াস পার্টি, জনপ্রিয় পার্টি, জাগ্রত পার্টি, আমজনতার দল, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), আ-আম জনতা পার্টির মতো অভিনব সব নাম মানুষকে যতটা না আগ্রহী ও আকৃষ্ট করছে, তার চেয়ে ঢের বিনোদিত করছে। গত আট মাসে এমন অন্তত ২৬টি নাম যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
তবে বাংলাদেশের ইতিহাস বলে গণঅভ্যুত্থান বা স্বৈরশাসন মুক্তির পর রাজনৈতিক দলের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ে। দীর্ঘ সময় দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তির পর অনেকেই রাজনৈতিক অভিলাষ থেকে দল গঠন করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার খায়েশ বা বার্গেনিং পাওয়ার হওয়ার টার্গেটেও নতুন দল গজিয়ে ওঠে। গণতান্ত্রিক সমাজে যে কারো এমনটা করার অধিকার আছে বটে। এরশাদের স্বৈরশাসনের পতনের পর ১৯৯১ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে আগের নির্বাচনের তুলনায় দ্বিগুণেরও অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। ৯ বছর মুক্তভাবে রাজনীতির চর্চা করতে না পারা অনেকেই একানব্বই সালে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। এবারও তেমন লক্ষণই দৃশ্যমান।
নবগঠিত দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দলটি গঠন করেছেন গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা। রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে যাত্রা করা শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এরই মধ্যে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তা মোকাবিলায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আর সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ (জেপিবি) নামের ছাব্বিশতম দলটি আত্মপ্রকাশ করেছে। এই দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক নেতা ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
দল গঠনের এই প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে। নবগঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার আগে বাংলাদেশের কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিয়েছিল এবং ভোটের বাজারে তাদের হাল কেমন হয়েছিল, তার তথ্য-পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
স্বাধীনতা-পূর্ব ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ১৬টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে ১ থেকে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছিল আটটি দল। আসন পেয়েছিল মাত্র দুটি দল। সর্বনিম্ন ১ শতাংশ ভোট পায় পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) আর সর্বোচ্চ ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আওয়ামী লীগ।
আবার ১৯৭০ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ১ শতাংশের ওপরে ভোট পেয়েছিল মাত্র চারটি দল। একা আওয়ামী লীগই ৮৯ শতাংশ ভোট পায়।
জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এ নির্বাচনে ২৯ দল অংশ নেয়। মাত্র ছয়টি দল ১ শতাংশের ওপরে ভোট পায়। বিএনপি ৪১ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে ২০৭ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগের দুই অংশের মধ্যে আবদুল মালেক উকিল গ্রুপ নৌকা নিয়ে ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মিজান গ্রুপ মই নিয়ে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে মোট ৪১টি আসন লাভ করে। এর বাইরে মুসলিম লীগ ও ডেমোক্রেটিক লীগের জোট, জাসদ এবং ন্যাপ মোজাফ্ফর ১ শতাংশের অধিক ভোট পেয়েছিল। অন্য ২৩টি দলের ভোটের অঙ্ক দশমিকের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।
ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরশাসক এরশাদ ১৯৮৬ সালে যে নির্বাচনের তামাশা করেছিলেন, তাতে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। পাতানো এ নির্বাচনেও মাত্র সাতটি দল ১ শতাংশের অধিক ভোট পেয়েছিল। এরশাদের জাতীয় পার্টি ৪২ দশমিক ৩৪, আওয়ামী লীগ ২৬ দশমিক ১৫ এবং জামায়াত ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এরশাদকে বৈধতা দেওয়ার সেই নির্বাচন বর্জন করা হয়। ওই নির্বাচনে ১ শতাংশের অধিক ভোট পাওয়া অন্য চারটি দল হচ্ছে ন্যাপ মোজাফ্ফর, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, জাসদ (রব) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
এরশাদ ক্ষমতা ধরে রাখার শেষ চেষ্টা হিসেবে ১৯৮৮ সালে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের মহড়া করেন। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ প্রধান সব রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যে করা ওই নির্বাচনে ৯টি দল অংশ নেয়। ৬৮ শতাংশ ভোট এরশাদের লাঙ্গলে দেখিয়ে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দলের নামে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট ও ১৯টি আসন বরাদ্দ করা হয়। অন্য একটি দল জাসদকে (সিরাজ) দেওয়া হয় ১ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও বিতর্কহীন নির্বাচন ছিল ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এর মধ্যে সাতটি দলের ভোটের অঙ্ক ১ শতাংশ অতিক্রম করেছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপি ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং আওয়ামী লীগ ৩০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ভোট পায়। এ নির্বাচনে ভোটের পরিসংখ্যানে ১ শতাংশের ঘর অতিক্রম করা অন্য দলগুলো হচ্ছেÑ জামায়াত, জাতীয় পার্টি, বাকশাল, জাকের পার্টি এবং কমিউনিস্ট পার্টি।
১৯৯৬ সালে দুটি সংসদ নির্বাচন হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের অধীনে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো বর্জন করে। তবুও এ নির্বাচনে ৪২টি দলের অংশগ্রহণ দেখা যায়। ইতিহাসের স্বল্পস্থায়ী সংসদের এ নির্বাচনের ভোটের হিসাব নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেনি।
সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক ৮১টি দল অংশগ্রহণ করে। তবে মাত্র পাঁচটি দল ভোটের অঙ্কে দশমিকের ঘর অতিক্রম করতে পেরেছিল। ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে। আর ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসতে হয় বিএনপিকে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জামায়াত ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট পায়। এর বাইরে শুধু ইসলামী ঐক্যজোট ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ওই নির্বাচনে।
২০০১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ফের কমে আসে। ১ অক্টোবর-২০০১ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেয় ৫৫টি রাজনৈতিক দল। আগের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে সেবারও ভোটের অঙ্ক পাঁচটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এ নির্বাচনে বিএনপি (ইসলামপন্থি কয়েকটি দলসহ) ৪০ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৯৩ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ পায় ৪০ দশমিক ২১ শতাংশ। বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াত ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৭টি আসন জয় করে। জাতীয় পার্টির ভোট ও আসনসংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ২৬ এবং ১৪টি।
২০০৮ সালের নির্বাচনেও ভোটের বাজার মাত্র পাঁচটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এ নির্বাচনে একদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট, অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশসহ মহাজোট ৫৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পায়। অন্যদিকে বিএনপি দলগতভাবে ৩২ দশমিক ৯৫ শতাংশসহ জোটগতভাবে ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
এরপরের চিত্র সবার জানা। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একতরফা ও তামাশার। ফলে তাতে ভোটের প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হয়নি।
নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের জন্মের নেপথ্যে অতীতে ডিজিএফআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে আলোচনা হতো। বর্তমানে যেসব দলের আবির্ভাব ঘটছে, তার পেছনে কচুক্ষেতের আদৌ কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। সাধারণত, শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় ডিজিএফআই এ ধরনের অপকর্মে জড়িত হতো। এখন প্রেক্ষাপট তেমনটা নয়। আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চা হিসেবে রাজনৈতিক দল গঠনকে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার ভিন্নমাত্রিক রূপ হিসেবে দেখা হয়। ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এই প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।
নতুন কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। গত ১৭ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি, যার প্রধান ডেসটিনির মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। অর্থ পাচার ও ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশনের মামলায় ১২ বছর কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি জেল থেকে বের হওয়ার তিন মাসের মাথায় নতুন এই দল নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। ডেসটিনির মাধ্যমে বহু মানুষকে পথে বসানোর নেতিবাচক ভাবমর্যাদা নিয়ে রফিকুল আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ নিয়ে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তা হাস্যকর। তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকের সঙ্গে তিনি মুক্তি পাননি। রাজনৈতিক দলের নেতা হলে তিনি ৫ আগস্টের পরপরই মুক্তি পেতেন।
সর্বশেষ ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত জেপিবির জন্মানুষ্ঠানে মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রতিটি গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লব ও আন্দোলনের পর সেসব সংগ্রামী চেতনায় নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের অভ্যুদয় ঘটে। যেহেতু রাষ্ট্র সাজবে একাত্তর ও চব্বিশের গণজাগরণের চেতনায়, সেই আঙ্গিকে নতুন দলের আবির্ভাব অনিবার্য।’
নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও শওকত মাহমুদদের ভাষায় নতুন দলের অভ্যুদয় অনিবার্য হলেও সাধারণের কাছে তাদের দলের অনিবার্যতা প্রমাণসাপেক্ষ। দলটি কতটা আবেদন সৃষ্টি করবে বা ভোটের বাজারে আদৌ কোনো অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। বিগত শাসনে অর্ধশতাধিক মামলায় আসামি হয়ে সাড়ে ১০ মাস জেলও খেটেছেন। আবার নিজের মতো করে চলতে গিয়ে বিএনপির মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। সাংবাদিকদের রাজনীতি-ভাগ্য মোটেই সুখকর নয়। নতুন বাংলাদেশ কাঞ্চন, শওকত, রফিকুল আমিনসহ নবাগত রাজনীতিকদের আদৌ কদর করে কি না, সেটি দেখতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট