Image description

গত বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি, রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ, মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া, ভয় দেখানো ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গড়ে তোলা গোপন নির্যাতন কেন্দ্র 'আয়নাঘর' পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তৎকালীন সরকার যাদের নিশ্চিহ্ন বা দমন করতে চেয়েছে, তাদের নেওয়া হতো এসব 'আয়নাঘরে'।

একই দিন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বহুল প্রতীক্ষিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে শেখ হাসিনা সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থান কীভাবে মোকাবিলা করেছে এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে সেই বিষয়ে তদন্তের ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী নিজেই আন্দোলন দমন করতে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে বলেছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে এবং স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, "আন্দোলনের মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করো, ঝামেলা সৃষ্টিকারীদের হত্যা করো এবং তাদের মরদেহ লুকিয়ে ফেলো।' ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

একইদিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মিলিয়ে দেখা যাক। ওই দিন ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে 'দেখামাত্র গুলি' করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগের দিন—১৮ জুলাই ২০২৪—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক 'কোর কমিটি'র বৈঠকে বিজিবি প্রধানকে নির্দেশ দেন, 'প্রয়োজনে আরও বেশি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে।' এসব তথ্য একসঙ্গে বিবেচনা করলে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা প্রশাসনের মানসিকতা কতটা নির্মম ছিল, তারা কতটা হিংস্র মানসিকতা নিয়ে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার 'আয়নাঘর' পরিদর্শনের পরেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নৃশংসতার প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত হয়েছে। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ ২০২২ সালে প্রথম এই গোপন নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর খবর প্রকাশ করে। আমরা এক সপ্তাহ পর সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করি। দেশে আমরা যারা সাংবাদিকতা করছি, তারা সেইসময়ে প্রতিনিয়ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ছিলাম। আমরা যে কাজ করার কথা ভাবতেও পারছি না, সেটাই করে দেখিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকরা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

আমরা এই ঘটনা নিয়ে যতই উদ্বেগ প্রকাশ করি, লিখি বা নিন্দা জানাই না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে সেটা নিশ্চিত করা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে, যা অতীতে রাজনৈতিক কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। আশা করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় এবার এসব পরিবর্তন নিশ্চিত করা হবে, যাতে এমন কিছু আর না হয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, ১৮৬১ সালের ঔপনিবেশিক পুলিশ আইনের সংস্কার। এটি সত্যিই বিস্ময়কর যে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা এই পুরোনো আইন নিয়েই চলছি। বহু বছর ধরে আমরা পুলিশের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি—তাদেরকে জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তুলতে বলছি, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে নয়। আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে আধুনিক পদ্ধতি শিখতে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

আমাদের রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্দীপ্ত ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বিবেচনায় শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা ঔপনিবেশিক ধাঁচেই আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, পিটিয়ে আহত করছে, এমনকি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি, আটকের পর পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে।

গণআন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা দশকের পর দশক ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো নির্বাচিত সরকারই পুলিশ সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি। অথচ, এ দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—বিরোধীদলে থাকাকালে পুলিশি দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে।

এ কারণেই পুলিশের আইন লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন, তদন্তে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ, গণহারে মামলা ও গ্রেপ্তার কমানো এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পুলিশ কমিশন প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশগুলোও দ্রুত কার্যকর করা জরুরি।

প্রাতিষ্ঠানিক দায়মুক্তি ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বিচার বিভাগকে সংস্কার করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ এ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। বিচারক নিয়োগে স্বাধীন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা, তাদের ভয়ভীতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং চাকরির মেয়াদ নিশ্চিত করার সুপারিশও জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

স্বাধীন পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠা ও সাক্ষী সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা হলে তা ন্যায়বিচার নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদনের সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অপব্যবহার, বিশেষ করে ডিজিএফআই ও এনএসআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের বিষয়টি। 'আয়নাঘর'গুলো ডিজিএফআই ও অন্যান্য সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া তৈরি করা সম্ভব হতো না। প্রশ্ন হলো, তারা কি আদৌ এই আদেশ অমান্য করতে পারত?

সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পরিচালিত হলেও ডিজিএফআই সেনাবাহিনীর অধীনস্থ নয়। বরং এই সংস্থাটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিপোর্ট করে। ফলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের আদেশ পালন করার বাধ্যবাধকতা তাদের রয়েছে।

সেক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে 'আয়নাঘর' তৈরির মতো বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে তাদের করণীয় কী? গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বিচারে আটক ও নানা ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততা সর্বজনবিদিত।

সামরিক ও বেসামরিক উভয় সরকারই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ডিজিএফআইকে ব্যবহার করেছে—এটি একটি বাস্তবতা। শেখ হাসিনার শাসনামলে এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। কেবল বিরোধীদের ভয় দেখানো ও নির্যাতন করতেই নয়, ব্যাংক দখল ও লাভজনক চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কোম্পানির স্বার্থ হাসিলেও ব্যবহার করা হয়েছে এই সংস্থাকে।

এর ফলে দুর্নীতি ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির এমন অপব্যবহারের কারণে এর সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও দেশসেবার সামর্থ্যও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

আমাদের সুস্পষ্ট মতামত হলো, ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচিত সরকার যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে—বিশেষ করে ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের ক্ষেত্রে। এই কাজটি নিশ্চিত করার এখনই মোক্ষম সময়। অতীতের কোনো রাজনৈতিক সরকারই এটি করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে মনে হয় না। কারণ, বিরোধীদল ও মতদমন এবং রাজনৈতিক স্বার্থ বাস্তবায়নে এই সংস্থাগুলো হচ্ছে সবচেয়ে সুবিধাজনক হাতিয়ার।

ডিজিএফআইকে ব্যবহার করে স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমকেও ভয় দেখানো হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে বিজ্ঞাপন না দিতে বাধ্য করা হয় শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে। এই অঘোষিত 'নিষেধাজ্ঞা' ২০১৬ সাল থেকে টানা আট বছর বহাল ছিল। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো বিস্মিত হয়ে দেখেছে যে, সাংবাদিক সংস্থাগুলোর—যেমন: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), প্রেসক্লাব—নির্বাচনে কারচুপি করার পাশাপাশি টেলিভেশন টকশোতে কারা অংশ নেবেন সেটাও বাছাই করে দিয়েছে ডিজিএফআই।

ক্ষমতায় থাকার মোহে শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করেছে। যার ফলে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। যেখান থেকে আমাদের মুক্তি মিলেছে ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।

আমাদের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নগ্ন রাজনৈতিক অপব্যবহার থেকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। তবেই কেবল জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিক অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একটি সুস্পষ্ট প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যপরিধি ও জবাবদিহিতার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা থাকবে। এতে করে প্রতিটি সংস্থা ও তাদের কর্মকর্তারা বুঝতে পারবেন যে, কোন কাজটি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং কোনটি পড়ে না।

বাজেট এবং তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এতে প্রতিটি সংস্থা ও তাদের প্রধানরা অধিকার ও আইনগত সুরক্ষা পাবে। এতে করে তারা নিজেদের কার্যপরিধির বাইরের কাজ করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে। এসব সংস্থায় কার্যপরিধির অস্পষ্টতা থাকার সুযোগ নেয় রাজনৈতিক নেতারা।

আজকের বিশ্বে এমন কিছু কাজকে ন্যায়সংগত করতে 'নিরাপত্তা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যেগুলো ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বলাই বাহুল্য, এসব সংস্থার ভেতরেরই কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তিও এমন অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে তারা ব্যক্তিগতভাবে আরও ক্ষমতাশালী হতে পারেন। দিনশেষে অসীম ক্ষমতার অনুভব মানুষের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্ম দেয়। আর এই বিষয়টিই অনতিবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

আমাদের একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক নজরদারি প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। যেগুলো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সুশাসনের আওতায় আনতে সহায়তা করবে এবং রাজনৈতিক, দলীয় বা ব্যক্তিগত স্বার্থে এসব সংস্থার অপব্যবহার রোধ করবে।

বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যেখানে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সংসদীয় বা স্বাধীন তদারকি সংস্থার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ডিবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থা এমন তদারকির আওতায় এলে তারা দলীয় স্বার্থের পরিবর্তে জাতীয় স্বার্থে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।

আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার ক্রমাগত পতনের প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি। আমরা এই প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করি। সেইসঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করতে হলে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ, আধুনিক সরঞ্জাম ও সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ও দলীয় প্রভাব থেকে এই সংস্থাগুলোকে মুক্ত রাখা, যাতে তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে পারে।

আমরা যেমন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব বুঝি এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলোকে কার্যকর দেখতে চাই, তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এসব সংস্থার যে অপব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি, সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামোও চাই।

মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার