Image description
 ডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ৪০টির বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মধ্যে কিছু আছে অভ্যন্তরীণ বিষয়। আবার কিছু আছে, যার প্রভাব দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে পড়ছে। এই প্রভাবের তালিকায় কিন্তু বাংলাদেশও আছে। সেটা কীভাবে?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগে থেকেই অনেক জল্পনা ছিল। সেই জল্পনাকে সত্য করতে তিনি কাজও শুরু করেছেন। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর ৪৪টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। পাশাপাশি আগের মেয়াদে দেওয়া বা বাইডেন প্রশাসনের সময় নির্বাহী আদেশের মধ্য দিয়ে বাতিল হওয়া পূর্বতন অনেক আদেশও পুনস্থাপন করেছেন।

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা, মেক্সিকো‑কানাডার ওপর আরোপিত শুল্ক (বর্তমানে আদেশটি স্থগিত অবস্থায় আছে), চীনের সঙ্গে শুল্কারোপের পুরোনো খেলায় মেতে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার মতো বিভিন্ন আদেশগুলো।

এসব আদেশের মধ্যে বিশেষভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইউএসএআইডি, বা মৌখিকভাবে ইউএসএইড নামে পরিচিত সংস্থা সম্পর্কিত নির্বাহী আদেশটি। এ নিয়ে মার্কিন মুলুকে আলোচনা হচ্ছে বটে। তবে এই ইউএসএআইডি–এর কার্যক্রমের যারা সুফলভোগী, সেই অংশে কিন্তু তেমন আলোচনা নেই। এ তালিকায় বাংলাদেশও আছে।নির্বাহী আদেশে সই করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

শুরুতেই এ সম্পর্কিত আদেশটি দেখা যাক। স্নায়ুযুদ্ধের কালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়কে মোকাবিলার অংশ হিসেবে ১৯৬১ সালের ৩ নভেম্বর ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর বিদেশে মার্কিন অর্থ সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএস টুডে জানাচ্ছে, এ সম্পর্কিত আদেশের পরপর ইউএসএআইডি–এর ১০ হাজারের বেশি কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়, তাও আবার বিনা বেতনে। পাশাপাশি অনেককে ছাঁটাইও করা হয়। বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশ থেকে নিজেদের কর্মীকে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পথভাড়া সরকার বহন করবে বলে জানানো হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশটি অবশ্য পরিষ্কার। তাঁর কথা–মার্কিন জনগণের করের টাকা সেখানেই ব্যয় হবে, যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রও উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে ইউএসএআইডি’কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে। যদিও এই ব্যয় সংকোচন ও আমলাতান্ত্রিকতা কমাতে নিযুক্ত ইলন মাস্ক জানাচ্ছেন, তাঁর দৃষ্টিতে ইউএসএআইডি একটি ‘মৃত’ সংগঠন। এটি সংস্কার করা অসম্ভব।

নতুন প্রতিষ্ঠিত দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সির (ডগ) শীর্ষে বসে আছেন দুই ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী। তাঁদের মতে, ইউএসএআইডি যেভাবে কাজ করছে, তা অপব্যয় ছাড়া কিছু নয়। তাই এটি বন্ধ করে দেওয়াই উত্তম।

বর্তমান পরিস্থিতি জানতে ইউএসএআইডি–এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়েও যথাযথ তথ্য পাওয়ার কোনো উপায় নেই। সেখানে একটি নোটিশ ঝুলছে, যাতে বলা আছে–‘সারা বিশ্বে ইউএসএআইডি–এর সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে ব্যতিক্রম ঘটবে।’

মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির পতাকা। ছবি: রয়টার্স৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর এই আদেশে আরও বলা হয়েছে–যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা কর্মীদের ৩০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে হবে। এ জন্য তাদের ভ্রমণ ব্যয় বহন করবে প্রশাসন। পাশাপাশি ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়া কর্মীরা তাদের বিধিবদ্ধ সুবিধাদি পাবেন বলেও জানানো হয়েছে ওই নোটিশে।

আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজ করা এই মার্কিন উন্নয়ন সংস্থার তহবিল স্থগিত করলে আসলে কী ঘটতে পারে? জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইউএসএআইডি একক ডোনার হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে সংস্থাটি মোট ৭ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার গেছে শুধু ইউক্রেনেই।

মার্কিন সরকার বিভিন্ন সংস্থার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে তাদের অর্থ সহায়তা দেয়। এর কোনোটি মানবিক সহায়তা, কোনোটি নিরাপত্তা সম্পর্কিত। স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, শরণার্থী, সুশাসন, গণতন্ত্র ইত্যাদি নানা খাতে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে এবং অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি মার্কিন সরকার এই অর্থ ব্যয় করে।

মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ফরেইন অ্যাসিস্ট্যান্স ডট জিওভি‑এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বের ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে দেশটি তার বিভিন্ন সংস্থার মধ্য দিয়ে মোট ১৫ হাজার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু ইউএসএআইডি–এর মাধ্যমে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৪৫ কোটি ডলার।

আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে নানা ধরনের সহায়তা বাবদ ইউএসএআইডি ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করেছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিউজউইক তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন দেশে যাওয়া এই অর্থ সহায়তা সম্পর্কিত একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ইউক্রেনের পর সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা গেছে ইথিওপিয়ায়, যার পরিমাণ ১৭০ কোটি ডলার।

মানচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা পেয়েছে আফগানিস্তান। তালেবান শাসনের অধীনে প্রত্যাবর্তন করা দেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে ২০২৩ সালে সংস্থাটি ১০৭ কোটি ৮৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ ডলার মানবিক সহায়তা পাঠায়। তালিকায় পরের দেশটিই কিন্তু বাংলাদেশ।

আমেরিকার জাতিসংঘের কার্যালয়। ছবি: রয়টার্স২০২৩ সালে বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র অর্থ সহায়তা এসেছে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৭১০ ডলার। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিন্তু এমনকি পাকিস্তান ও ভারত থেকেও এগিয়ে। এই দুই দেশে একই বছরে সংস্থাটির অর্থ সহায়তার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২২ কোটি ২৭ লাখ ও ১১ কোটি ৮১ লাখ ডলারের কিছু বেশি।

ইউএসএআইডি ভারত বা পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি অর্থ সহায়তা দেয়–এটি এত দিন আনন্দের খবর হিসেবে বিবেচিত হলেও, এখন কিন্তু এ খবরই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। কারণ, ডগ‑প্রধান ইলন মাস্ক বলছেন, ইউএসএআইডি পুনর্গঠন বা এর সংস্কার এক রকম অসম্ভব। ফলে এই সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে একমত হয়েছেন। 

বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তার ধরন বিচার করলে বিষয়টি কিছুটা বোঝা যাবে। এফএ ডট জিওভি ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মার্কিন বিভিন্ন সংস্থা নানা ধরনের সহায়তা হিসেবে মোট ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। এই অর্থ ২৪০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৩ কোটি ডলার এসেছে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে। এর পরের অবস্থানেই আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ১২ লাখ ডলারের বেশি। মার্কিন কৃষি দপ্তরের মধ্য দিয়ে এসেছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্সএই অর্থ সহায়তা দেওয়া খাতগুলোর দিকে এবার তাকানো যাক। মোট ৪৯ কোটি ডলারের মধ্যে ১৯ কোটি ৮ লাখ ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রকল্পে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ডলার। শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, স্বাস্থ্য খাতে ৪ কোটি ৮০ লাখ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন সম্পর্কিত খাতে প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা খাতে ৩ কোটির বেশি ও বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প সহায়তা বাবদ আড়াই কোটি ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা এসেছে।

খাতগুলোর দিকে নজর দিলেই বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থের বিষয়টি কিছুটা বোঝা যাবে। বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তার খাতগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে মানবিক সহায়তা। এর পরের অবস্থানগুলোতে আছে যথাক্রমে– অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা এবং প্রকল্প সহায়তা সম্পর্কিত খাত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে তেমন উত্তাল পরিস্থিতি ছিল না। তারপরও অর্থায়নের পরিমাণ বিচারে শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত খাতটি স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের ওপরে অবস্থান করেছে। একই সময়ে ভারতে পরিচালিত অর্থায়নের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানে অর্থায়নের আকার বিচারে ক্রমটি হচ্ছে–স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রকল্প সহায়তা, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন, শান্তি ও নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং মানবিক সহায়তা। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ক্রমটি হচ্ছে–মানবিক সহায়তা, প্রকল্প সহায়তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং পরিবেশ। যদিও ২০২৩ সাল পাকিস্তানের জন্য ছিল উত্তাল বছর। কিন্তু শান্তি ও নিরাপত্তার খাতে ওই বছর মার্কিন অর্থায়ন হয়েছে কম। 

দেশে দেশে মার্কিন সহায়তার ধরন এবং সেই ধরনের মধ্যে তাদের অর্থায়নের আকার বিবেচনায় অগ্রাধিকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের একমেরু বিশ্ব কাঠামোর একক মোড়ল হয়ে বসে থাকা দেশটি যতটা সামরিক অভিযান চালিয়ে এই একাধিপত্ব কায়েম করেছে, তার চেয়ে বেশি কাজে লাগিয়েছে তাদের সফট ডিপ্লোম্যাসি টুলকে।

টাকার বিনিময়ে কেনা হচ্ছে ডলার। ফাইল ছবিআগেই বলা হয়েছে যে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের কালে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ইউএসএআইডি–এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তোলা হয়। নানা ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা, সমাজ‑সংস্কৃতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা, শান্তি, গণতন্ত্র ইত্যাদি নানা অভিধায় পরিচালিত প্রকল্পগুলোতে তারা বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে শুধু নিজেদের স্বার্থকে বাস্তবায়নের তাগিদে। এ ক্ষেত্রে তারা সামরিক জোট ন্যাটোকে যেমন কাজে লাগিয়েছে, তেমনি কাজে লাগিয়েছে ইউএসএআইডি, মার্কিন কৃষি অধিদপ্তর, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে। জাতিসংঘও অবশ্য এই তালিকার বাইরে নয়।

সে যাক, সে অন্য আলাপ। আসা যাক মার্কিন সহায়তা প্রকল্পের বিষয়ে। সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইউএসএআইডি বন্ধ হলে বা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সটকে পড়াটা আসলে বড় ধরনের অভিঘাত তৈরি করবে বাংলাদেশে। এসব তহবিলে চলা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা সরকারি‑বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প অর্থ সংকটে পড়তে যাচ্ছে অবধারিতভাবেই। এতে বহু মানুষের কর্মহীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া গেছে। কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য যদিও এখনো নেই। তবুও এটা সহজ অনুমান যে, দাতাদের তহবিলের ওপর নির্ভরশীল প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চিতভাবেই বড় ধরনের ধাক্কা পেতে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে একেবারে তলা পর্যন্ত। অর্থাৎ, এসব প্রকল্প ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সুবিধাভোগীরা বলা যায় সংকটে পড়তে যাচ্ছে, যদি না ট্রাম্প তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

লেখক: উপবার্তা সম্পাদক, ডিজিটাল বিভাগ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন