Image description
জিন্নাহকে নিয়ে সুফিয়া কামালের কবিতা, ফেসবুকে দিল পাকিস্তান দূতাবাস
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি সুফিয়া কামালের একটি কবিতা ফেসবুকে পোস্ট করেছে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন। হাই কমিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ওই পোস্টে কবিতাটির আবৃত্তির লিঙ্কও যুক্ত করা হয়েছে। যাতে কণ্ঠ দিয়েছেন কুতুব উদ্দীন চৌধুরী ইশতি। ২৫ ডিসেম্বর উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কায়েদে আজম খ্যাত জিন্নাহর জন্মদিন। ১৯৫৪ সালে তার জন্মদিন উপলক্ষে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কবি সুফিয়া কামাল ‘হে মহান নেতা’ শিরোনামে এ কবিতা লেখেন। কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সচিত্র বাংলা মাসিক পত্রিকা মাহে নও-এর সে বছরের ডিসেম্বর সংখ্যায়। ১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটি বংশোদ্ভূত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ জিন্নাহ। দেশবিভাগের পরের বছর, ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর করাচিতে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন। পাকিস্তান হাই কমিশনের ফেসবুক পেজ থেকে কবিতাটি তুলে দেয়া হলো- “কায়েদে আজম! হে মহান নেতা সাড়া দাও, দাও সাড়া, তোমারে ভোলেনি, আজিও ডাকিছে বঞ্চিত সর্বহারা তোমারে হেরেনি, শুনেছিল শুধু তোমার কন্ঠবাণী; জেনেছিল তারা, তুলেছে পতাকা তোমার বজ্রপাণি অবিচল ন্যায়ে, সত্যের আলো ইসলামী ছায়াতল বহু যুগান্ত আঁধার অন্তে আবার সমুজ্জ্বল হয়ে এল, নীল নভ হতে হাসে অর্ধচন্দ্র-তারা শ্যামা বসুমতী বিছায়ে আঁচল নিশীথ তন্দ্রাহারা হেরিল দিনের দীপ্তরবির আলোক বিথারি পথ ভরে জনতায় তব জয়গানে পুরাইয়া মনোরথ দৃপ্ত স্বাধীন বক্ষের বলে লাখো লাখো তাজা প্রাণ- কায়েদে আযম! তোমারে স্মরিয়া করিয়াছে কোরবান। এনেছে আযাদী শতাব্দী শেষে, তোমার মহান দান অঞ্জলী পাতি করেছে গ্রহণ, রাখিয়াছে সন্মান সর্বহারার দল । আর যারা লোভী, ক্রুর শয়তান, তাহারা করেছে ছল।” সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন তিনি। ভাষা আন্দোলন পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া কবি সুফিয়া কামাল। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।