Image description
আলঝেইমার্স নির্ণয়ের ৯০% নির্ভুল উপায়
কারো স্মৃতিশক্তি হারানোর পেছনে জটিল রোগ আলঝেইমার্স দায়ী কি না, একটি সম্মিলিত রক্ত ​​পরীক্ষা তা ৯০ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে নির্ধারণ করতে পারে। এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। আলঝেইমার্স রোগ হলে চিন্তা, যুক্তি দেওয়া ও স্মৃতির মতো মানসিক সক্ষমতা ধীরে ধীরে এতটাই কমে যায় যে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে থেকে দাঁত মাজার মতো সহজ কাজও করতে পারে না। গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে নিউরোলজিস্ট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করা স্মৃতি বিশেষজ্ঞরা ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আলঝেইমার্স নির্ণয় করতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ের সেবা দেওয়া ডাক্তারদের সাফল্য আরো কম, মাত্র ৬১ শতাংশ। নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যে বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা করছেন, তার একটি হচ্ছে ‘পি-টাউ ২১৭’ পরীক্ষা। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা প্রাথমিক পর্যায়ের স্মৃতি হারানো তথা প্রাথমিক পর্যায়ের আলঝেইমার্স রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন। গবেষণার সহলেখক ড. সেবাস্টিয়ান পামকভিস্ট বলেন, এ পরীক্ষায় টাউ প্রোটিন ২১৭-এর মাত্রা পরিমাপ করা হয়, যা অ্যামাইলয়েড প্যাথলজির একটি দারুণ সূচক। ড. পামকভিস্ট সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক। সিএনএনকে ই-মেইলে দেওয়া ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রক্তে পি-টাউ ২১৭-এর ঘনত্ব বৃদ্ধি আলঝেইমার্স রোগে বেশ ভালোভাবেই দেখা যায়। রোগের ডিমেনশিয়া পর্যায়ে এর মাত্রা সাধারণ বৃদ্ধদের তুলনায় আট গুণ বেশি হয়। এ আগে গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, অনুরূপ ধরনের পি-টাউ ২১৭ পরীক্ষা বিটা-অ্যামাইলয়েডের উচ্চ মাত্রা শনাক্তকরণে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক। আর টাউ শনাক্তকরণে তা ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক। মস্তিষ্কে বিটা-অ্যামাইলয়েড এবং টাউ প্রোটিনের জটের উপস্থিতি আলঝেইমার্স রোগের স্পষ্ট লক্ষণ। নতুন গবেষণায় পি-টাউ ২১৭ পরীক্ষাটির পাশাপাশি অ্যামাইলয়েড ৪২/৪০ রেশিও নামের আরেকটি রক্তের পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দুই ধরনের অ্যামাইলয়েড প্রোটিনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। আলঝেইমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বিজ্ঞান কর্মকর্তা ড. মারিয়া ক্যারিলো বলেন, ‘আমরা এমন একটি রক্ত ​​পরীক্ষা করতে চাই, যা প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই হতে পারে। এটি হবে কোলেস্টেরল পরীক্ষার মতো সহজ। পি-টাউ ২১৭ রক্ত ​​​​পরীক্ষাটিই দৃশ্যত আলঝেইমার্সের জন্য সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর মনে হচ্ছে। সূত্র : সিএনএন