গরমকালের অন্যতম উপকারী একটি ফল তরমুজ। তীব্র গরমের শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করাসহ নানা উপকার করে এই ফল। যেমন- ক্লান্তি দূর করা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং কিডনির নানা সমস্যা দূর করে তরমুজ।
তবে অতি রসালো এবং সুমিষ্ট এই ফলটি খাওয়ার সময় প্রতি কামড়ে কামড়ে এর বীজও চলে যায় পেটে। তাতে কি শরীরের কোনো উপকার বা ক্ষতি হয়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন এ ব্যাপারে?
বিশেষজ্ঞদের মত হলো, তরমুজের বীজে আছে linoleic acid, oleic acid, palmitic এবং stearic acids। এগুলো পেটে গেলে কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বরং অনেক লাভ। শরীর ঠান্ডা হয়, হজম ক্ষমতা বাড়ে। এমনকি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজের বীজ শুকিয়ে সেগুলো সেঁকেও খেলেও অনেক উপকার।
চলুন তবে আর দেরি না করে তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো জেনে নিই।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
তরমুজের বীজ ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া হৃদগতির ছন্দ ধরে রাখতেও এটা উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তরমুজের বীজে রয়েছে জিংক। এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এটা সংক্রমণসহ অন্যান্য অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
তরমুজের বীজে রয়েছে আঁশ এবং অপরিশোধিত চর্বি; যা হজমে সহায়তা করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।
ত্বক ও চুল ভালো রাখে
তরমুজের মাস্ক যেমন ত্বক সতেজ রাখে; একইভাবে এর বীজ ত্বক ও চুলের উপকার করে। তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটা প্রদাহ ও ব্রণ কমাতে পারে।
হাড়ের সুস্থতায়
তরমুজের বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। হাড় ছাড়াও পেশির কার্যকারিতা বাড়াতে ও স্নায়ু সচল রাখতে এটা উপকারী।
তবে তরমুজের এই বীজ আবার সবার জন্য উপকারী নয়। এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। তাই যাদের পাকস্থলিতে সমস্যা রয়েছে যেমন অনিয়মিত মল ত্যাগ- তাদের তরমুজের বীজ না খাওয়াই ভালো।
এছাড়া তরমুজের বীজে রয়েছে অ্যালার্জিক উপাদান। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই বীজ না খাওয়াই উত্তম। আবার থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা ‘কিডনি’ বা বৃক্ক যাদের দুর্বল, তাদের জন্য ক্ষতিকর।
ঢাকাটাইমস