শেখ হাসিনার বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সে প্রচার না করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন টিমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এছাড়া সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে আদালত শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি), তথ্যমন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে যেন শেখ হাসিনার কোনো ধরনের হেটস্পিচ সম্প্রচার বা প্রকাশ না হয় সে জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছেন৷
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেছেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে মামলার বিচারের সময় সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীদের ট্রাইব্যুনালে আনা যাবে না। তাঁরা ভয়ে আসবেন না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আবেদনটি করেছিলাম একজন আসামির হেটস্পিচের বিষয়ে, তিনি হলেন শেখ হাসিনা। কারণ এখন পর্যন্ত শুধু ওনার হেটস্পিচগুলো আমাদের কাছে আছে, যেগুলোর প্রমাণ পেয়েছি। এগুলো তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করে। ফেসবুক, এক্স এবং ইউটিউবসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের আদেশটি পৌঁছানো হবে।
এর আগে সকালে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান। প্রসিকিউশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে নানা কটুক্তি করেছেন ভারতে পালিয়ে অবস্থানরত শেখ হাসিনা। তার বক্তব্য বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। প্রসিকিউশন বলছে, যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন সরকার তা বন্ধেই এ আবেদন।